‘বিজেপি আর কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসছে না!’ গত কয়েকদিন ধরেই এমনটা বলে আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হুগলির শ্রীরামপুরে এব্যাপারে তাঁকে আরও আত্মবিশ্বাসী দেখাল। তাই সরাসরি বিনা শর্তে কেন্দ্রে ‘ইন্ডিয়া’ সরকার গড়ার ঘোষণাই করে দিলেন তিনি।
‘শ্লীলতাহানি’-র পর এবার ‘ধর্ষণ’-এর অভিযোগ! এবার অভিযোগকারিণী রাজভবনের চৌহদ্দির বাইরের, কলকাতার বাসিন্দা একজন নৃত্যশিল্পী। কিন্তু আঙুল উঠেছে সেই এক ব্যক্তির দিকেই— পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
‘সবাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত টাকা পেয়েছেন?’ ভরা সভায় প্রশ্নটা ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর এল। আর সগর্জনে। সভাস্থলে উপচে পড়া নারী সমাজ জোরালো কণ্ঠে সাড়া দিল, ‘হ্যাঁ’। কিন্তু একটু পরে সেই মহিলাদেরই চোখে-মুখে দেখা গেল অনিশ্চয়তার কালো মেঘ।
সংসদে কল্যাণ একাই একশো। হুগলির শ্রীরামপুরে নির্বাচনী জনসভা করতে এসে এভাবেই বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কল্যাণকে সংসদে সবচেয়ে ‘সরব কণ্ঠ’ বলেও স্বীকৃতি দিয়েছেন।
মহিলাকে ‘জোর’ করে সাদা কাগজে সই করিয়ে তাতে ধর্ষণের ‘মিথ্যা’ অভিযোগ দায়ের করায় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসকে সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দিতে বলেছিল পুলিস। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও থানায় হাজিরা দিতে যাননি রেখা পাত্রের ছায়াসঙ্গী বিজেপি নেত্রী পিয়ালি ওরফে মাম্পি।
মঙ্গলবার দুপুর, ঘড়ির কাঁটায় আড়াইটে। শুনশান এলাকা। ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব আসছেন শুনেই রাস্তা ভরে গেল। কেউ রান্না করে সকাল সকাল খেয়ে ছাতা মাথায়, কেউ বা মাথায় গামছা ঢাকা নিয়ে যশোর রোডের ধারে দাঁড়িয়ে রইলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে রহড়ার কাছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে লরির ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও জখম হয়েছে আরও দুই পড়ুয়া। তারা রহড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম রূপকথা দত্ত (১৭)।
মুখ্যমন্ত্রীর সভার পরের দিনই আমতায় জনসভা করলেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার আমতার বেতাই জয়ন্তী মাঠে এই সভা ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু কর্মীদের সেই উৎসাহ মাঠ পর্যন্ত পৌঁছল না।
মমতার হেভিওয়েট সভার পাশাপাশি এদিন প্রচারে জৌলুস ছিল বামেদেরও। শ্রীরামপুরের বামপ্রার্থী দীপ্সিতা ধরের সমর্থনে এদিন শ্রীরামপুরে প্রচার করেন বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে জাঙ্গিপাড়াতে সমাবেশ করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহের সময় পচনশীল এবং অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করেন পুরকর্মীরা। এবার বিকল টিভি, মাউস, কি-বোর্ড, মোবাইল, স্মার্ট ওয়াচ ইত্যাদি অকেজো বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম আলাদা করে সংগ্রহের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিল কলকাতা পুরসভা।
এক প্রৌঢ়ের মরণোত্তর অঙ্গদান। আর তাতেই স্মরণীয় হয়ে রইল রাজ্যের অঙ্গদান আন্দোলন। তাঁর শরীর থেকে দান হিসেবে মিলল হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, দু’টি কিডনি ও চোখ এবং ত্বক। অরুণ কুলে (৫২) নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার ওই প্রৌঢ়ের অঙ্গদানে নবজীবনের আশ্বাস পেলেন ছ’জন মানুষ।
নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বিএনএ, ভাটপাড়া: কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার ফের অনাস্থার তলবি সভা হল। যথারীতি এদিনও ১৯ জন তৃণমূল কাউন্সিলার অনাস্থার পক্ষে সই করলেন। বিজেপির সকল কাউন্সিলার গরহাজির ছিলেন। অনাস্থা পাশ হওয়ার পর এদিনও ভাটপাড়ায় উড়ল সবুজ আবির। তবে গত বৃহস্পতিবারের মতো উন্মাদনা দেখা গেল না তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। কলকাতা উচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি এদিনই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। গেরুয়া শিবির এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে।
গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তিন কাউন্সিলারের ডাকা অনাস্থার তলবি সভা হয়। সেদিনও ১৯ জন কাউন্সিলার অনাস্থার পক্ষে সই করেন। ভাটপাড়া পুনরুদ্ধার হওয়ার দাবি তুলে উল্লাস দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া রোড জুড়ে সবুজ আবির খেলেন তাঁরা। কিন্তু পুনরুদ্ধারের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সন্ধ্যায় হাইকোর্ট অনাস্থার তলবি সভা অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করে। আদালতের রায় শুনে মুষড়ে পড়ে শাসক দলের শিবির।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে মঙ্গলবার তলবি সভা হল। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী, বারাকপুরের মহকুমা শাসক আব্দুল কালাম আজাদ ইসলামের উপস্থিতিতে সভা হয়। এদিনও একই ফলাফল দেখা যায়। তলবি সভার রিপোর্ট বন্ধ খামে আজ, বুধবার জেলাশাসক কলকাতা উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেবেন।
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়া পুরসভায় এই মুহূর্তে মোট কাউন্সিলারের সংখ্যা ৩২ জন। এর মধ্যে একজন বামেদের রয়েছেন। ৩১ জনের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ জন। বিজেপির পক্ষে ১২ জন। অর্থাৎ সংখ্যালঘু অর্জুন শিবির। তৃণমূল কাউন্সিলারদের ‘ঘর ওয়াপসি’র কারণে অর্জুন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন।
ভাটপাড়া পুরসভার ৩০০ মিটার জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল পুলিস প্রশাসন। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল ভাটপাড়া। তলবি সভা শেষে বিজয়ী চিহ্নে তৃণমূল কাউন্সিলাররা বেরিয়ে আসতেই উল্লাস দেখা যায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। একটু পরেই ডিজে সাউন্ড সিস্টেম বেজে ওঠে। বাজনার তালে তালে দলীয় পতাকা হাতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা নাচতে থাকেন।
কাঁকিনাড়া বাজারে তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে এদিনও হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক সহ অন্য নেতারা। জেলা সভাপতি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফের অনাস্থার তলবি সভা হল। তাতেও আমরা জয়ী হলাম। ১৯ জন কাউন্সিলার আমাদের পক্ষে। অর্জুন সুপ্রিম কোর্টে গেলেও কিছু লাভ হবে না। আমাদের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সকালেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। এতে সুপ্রিম কোর্ট কোনও রায় দিলে, দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের ভিত্তিতে দেবে। বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংকে ফোনে পাওয়া যায়নি। দলের বারাকপুর জেলা সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছি। তৃণমূল পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে জোর করে ভাটপাড়া দখল করতে চাইছে।
গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তিন কাউন্সিলারের ডাকা অনাস্থার তলবি সভা হয়। সেদিনও ১৯ জন কাউন্সিলার অনাস্থার পক্ষে সই করেন। ভাটপাড়া পুনরুদ্ধার হওয়ার দাবি তুলে উল্লাস দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া রোড জুড়ে সবুজ আবির খেলেন তাঁরা। কিন্তু পুনরুদ্ধারের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সন্ধ্যায় হাইকোর্ট অনাস্থার তলবি সভা অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করে। আদালতের রায় শুনে মুষড়ে পড়ে শাসক দলের শিবির।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে মঙ্গলবার তলবি সভা হল। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী, বারাকপুরের মহকুমা শাসক আব্দুল কালাম আজাদ ইসলামের উপস্থিতিতে সভা হয়। এদিনও একই ফলাফল দেখা যায়। তলবি সভার রিপোর্ট বন্ধ খামে আজ, বুধবার জেলাশাসক কলকাতা উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেবেন।
প্রসঙ্গত, ভাটপাড়া পুরসভায় এই মুহূর্তে মোট কাউন্সিলারের সংখ্যা ৩২ জন। এর মধ্যে একজন বামেদের রয়েছেন। ৩১ জনের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষে ১৯ জন। বিজেপির পক্ষে ১২ জন। অর্থাৎ সংখ্যালঘু অর্জুন শিবির। তৃণমূল কাউন্সিলারদের ‘ঘর ওয়াপসি’র কারণে অর্জুন সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন।
ভাটপাড়া পুরসভার ৩০০ মিটার জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল পুলিস প্রশাসন। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল ভাটপাড়া। তলবি সভা শেষে বিজয়ী চিহ্নে তৃণমূল কাউন্সিলাররা বেরিয়ে আসতেই উল্লাস দেখা যায় দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। একটু পরেই ডিজে সাউন্ড সিস্টেম বেজে ওঠে। বাজনার তালে তালে দলীয় পতাকা হাতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা নাচতে থাকেন।
কাঁকিনাড়া বাজারে তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে এদিনও হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক সহ অন্য নেতারা। জেলা সভাপতি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফের অনাস্থার তলবি সভা হল। তাতেও আমরা জয়ী হলাম। ১৯ জন কাউন্সিলার আমাদের পক্ষে। অর্জুন সুপ্রিম কোর্টে গেলেও কিছু লাভ হবে না। আমাদের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সকালেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। এতে সুপ্রিম কোর্ট কোনও রায় দিলে, দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের ভিত্তিতে দেবে। বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংকে ফোনে পাওয়া যায়নি। দলের বারাকপুর জেলা সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছি। তৃণমূল পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে জোর করে ভাটপাড়া দখল করতে চাইছে।
