গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
উদ্বিগ্ন কমিশন নেমে পড়েছে নতুন করে প্রচারে—ভোট দিন। কমিশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর শচীন তেন্ডুলকরের রেকর্ডেড বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে ভোটারদের ফোনে। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, প্রচার চালানো হবে আইপিএলের মাঠেও। এছাড়া ট্রেন, বাস, রেডিও তো রয়েইছে। অনলাইন খাবারের অ্যাপ, এটিএম সহ মোট ২৬টি উপায়ে প্রচারের প্ল্যান। নতুন করে নেমে পড়েছে বিজেপিও—অঙ্ক কষতে। এই চার দফায় ৬৭ কোটি ৩৬ লক্ষ ভোটারের বুথে আসার কথা ছিল। অথচ এসেছেন ৪৫ কোটি ১০ লক্ষ। অর্থাৎ, ভোট দেননি ২২ কোটি ২৬ লক্ষ মানুষ। সহজ অঙ্কে ৩৩.০৫ শতাংশ মানুষ বুথমুখো হননি। এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজেপির।
কমিশন ভাবছে, গরম? নাকি ভোটদানে অনীহা? কেন আসছেন না ভোটাররা? সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। বলেছেন, ‘ভোটদানের হার বাড়াতেই হবে।’ আর উদ্বেগের কারণ, ভোটে অনীহার অর্থ প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা নয় তো? ভোটদানের হার কম হওয়া মানেই সরকার নিশ্চিন্ত হতে পারে না। গতবারের তুলনায় এবার ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৬ কোটি। নতুন ভোটাররা যদি ভোট দিয়ে থাকেন, কোনদিকে গিয়েছে তাঁদের মত? বিজেপির প্রতি গত দু’টি লোকসভা ভোটে যাঁরা ভরসা রেখেছিলেন, তাঁরা এবার বিরত থাকছেন না তো? এই প্রশ্ন ঘুরছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তার উপর প্রশ্ন উঠছে তথ্য প্রকাশে কমিশনের টালবাহানা নিয়েও। প্রথম দফার ভোটদানের সামগ্রিক রিপোর্ট প্রকাশে ১১ দিন সময় নিয়েছিল কমিশন। তারপর সময়সীমা কমলেও দু’দিনের আগে কিছুতেই তথ্য সামনে আসছে না। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহুয়া মৈত্র ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। বলেছেন, ‘যে হিসেব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা পেয়ে যাচ্ছি, তা প্রকাশে দু’দিন লাগছে কেন কমিশনের?’ বিরোধীদের প্রশ্ন, তথ্যে কারচুপি হচ্ছে না তো? সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বলেছেন, ‘চার দফা নির্বাচন হয়ে গেল। এখনও ভোটের হার সামগ্রিকভাবে দিতে টালবাহানা কেন? এটা গণতন্ত্রের জন্য ভয়ানক। বিজেপি আসলে বুঝে গিয়েছে যে, ওরা কম আসন পাচ্ছে। তাই এখন সাম্প্রদায়িক বিভাজন শুরু করেছে। এবার ক্ষমতায় আসছে ইন্ডিয়াই... ৩০০’র বেশি আসন জিতে।’