গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
মমতার আরও প্রশ্ন, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানির দামের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কী কী করেছেন? উত্তর তিনি নিজেই দিয়েছেন, কিছুই না। তাঁর সাফ কথা, ‘কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর আত্মপ্রচার চলছে। তবুও তিন দফার ভোটের পর মোদিবাবুরা বুঝে গিয়েছেন, অবস্থা ভালো নয়। তাই মরিয়া হয়ে ব্যক্তি কুৎসা, মেরুকরণ-বিভাজনের মতো উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলছেন।’ এই প্রসঙ্গেই তৃণমূলনেত্রীর কটাক্ষ—‘অনেক কিছু করছে। কিন্তু লাভ হবে না। ভোকাট্টা তোমায় হতেই হবে। ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথর সিপিএমকে ছুড়ে ফেলেছি, বিজেপিকেও পারব।’ এর পাশাপাশি নতুন নিদান দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘একটা বাচ্চা ভুল করলে, তাকে একটা চড় মারা যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ভুল করলে! গদিটাই উল্টে দিতে হয়।’
নির্বাচনী প্রচারপর্বে বিজেপির হাতিয়ার ‘মোদির গ্যারান্টি’! সেই গ্যারান্টি নিয়েই এদিন গেরুয়া শিবিরকে নিশানায় বিঁধেছেন মমতা। বলেছেন, ‘আমরা মুখে গ্যারান্টি দিই না। কাজে করে দেখাই। সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষকে আমরা পরিষেবা দিচ্ছি, দিয়ে যাব। আর ওরা (বিজেপি) নির্যাতন করছে, টাকা আটকে দিচ্ছে।’ গলার সুর সপ্তমে চড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘বিজেপি এখন হুমকি দিচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার। কত ক্ষমতা! মনে রাখবেন, আমি এখনও বেঁচে আছি।’ দৃশ্যত ক্ষিপ্ত দেখিয়েছেন নেত্রীকে। তিনি আরও বলেন, ‘গরিব মানুষের উন্নয়নের কাজে নাকি টাকা নেই! তাহলে তোমার পকেট থেকে বিজ্ঞাপনের টাকা আসছে কোথা থেকে? লুট করছ, টাকা তুলছ। আর সেই টাকা দিয়ে আত্মপ্রচার আর বিজ্ঞাপন হচ্ছে। ১০০ দিনের মজুরির টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছে। বকেয়া চাইতে গেলে, বলছে তৃণমূল দুর্নীতি করেছে। ৩০০ টিম পাঠিয়ে সব খোঁজখবর করল, একটাও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারল না।’
বিজেপির তোলা রেশন দুর্নীতির অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘রেশনের টাকা দেয় না। অথচ দাবি করছে, ওরাই (কেন্দ্র) নাকি বিনামূল্যে রেশন দেয়। রেশনে লাগে ১৬ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ৭ হাজার কোটি। সেটাও দেয়নি, আমাদেরই দিতে হয়েছে। অথচ মিথ্যার বেসাতি চলছেই। বাংলার মানুষই এর জবাব দেবে।’