প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বন্দ্ব ও ভেদাভেদ ভুলে আদি, নব্য, যুব, মাদার, মহিলা, শ্রমিক সব সংগঠন একজোট হয়ে বৈঠক হচ্ছে। শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা কারখানা, টেম্পো, ট্রেকার, বাস স্ট্যান্ড ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিকদের তৃণমূলের উন্নয়নের খতিয়ান দেখাচ্ছে। বর্তমানে সর্বক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিকদের জন্য বর্তমান রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে সামনে রাখা হচ্ছে। মাদার ও যুব সংগঠন ‘ডোর টু ডোর’ যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি কেন্দ্রের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচার করা হচ্ছে। মহিলা বাহিনী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য সহ সাধারণ মহিলাদের বোঝাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড। বর্তমানে রাজ্য সরকারের চেষ্টায় মহিলারা স্বনির্ভর হচ্ছেন। মাস ফুরোলেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকে যাচ্ছে। মহিলারা আত্মসম্মানের সঙ্গে বাঁচছেন।
উল্লেখ্য, রঘনাথপুর পুরসভা, রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লক, সাঁতুড়ি ও নিতুড়িয়া ব্লক নিয়ে রঘুনাথপুর বিধানসভা গঠিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনটি পঞ্চায়েত সমিতি বিরোধী শূন্য হয়েছিল। অন্যদিকে পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে বর্তমানে ন’টি তৃণমূলের দখলে।
জেলা পরিষদের পরিসংখ্যান অনুসারে, তৃণমূল বিধানসভায় প্রায় ৩৫ হাজার ভোটে বিজেপির থেকে এগিয়েছিল। অন্যদিকে পুরসভাতেও প্রায় আট হাজারে বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল। ফলে পরিসংখ্যান অনুসারে বিজেপির চেয়ে প্রায় ৪২ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে। উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার প্রায় ৪২ হাজারের বেশি ভোটে এই বিধানসভায় এগিয়ে ছিলেন। যদিও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলকে ৪৫০০ ভোটে হারিয়েছিলেন। তৃণমূলের দাবি, যত দিন যাবে মানুষের সামনে বিজেপির মুখোশ খুলে যাবে। ফলে তাঁদের ভোটও কমবে।
নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব বলেন, বামেদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে জেলায় প্রথম আমরা ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করেছিলাম। বর্তমানে দু’বার পঞ্চায়েত সমিতি বিরোধী শূন্য। তৃণমূল এলাকায় যে উন্নয়নের কাজ করেছে সেই উন্নয়নের খতিয়ানে ভোট হয়। ফলে বিজেপি যতই ভাওতা দিক না কেন জয়ের হাসি তৃণমূলেই হাসবে।
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা এসি মোর্চার সভাপতি মামনি বাউরি বলেন, তৃণমূল রাজ্যের এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যেখানে চুরি করেনি। মানুষ চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের ক্ষমতায় আসার আগে কী অবস্থা ছিল, আর বর্তমানে কী অবস্থা হয়েছে। কীসের জোরে এই কয়েক বছরে তৃণমূলের নেতারা ফুলে ফেঁপে উঠল। তাই কেন্দ্রের উন্নয়ননের পক্ষে আর তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে ভোট হবে। জয়ের হাসি হাসবে বিজেপি।