প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিন পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সমর্থনে কাশীপুরে রোড শো হয়। কাশীপুর সেবাব্রতী সঙ্ঘের ময়দানে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টারে করে আসেন অভিনেতা। সেখান থেকে যোগদান রোড শোয়ে। হুডখোলা গাড়িতে রোড শো কাশীপুরের সমস্ত বাজার এলাকা পরিক্রমা করে। এদিন অভিনেতার সঙ্গে প্রার্থী ছাড়াও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক স্বপন বেলথরিয়া, পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া প্রমুখ ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি কাশীপুর এলাকায়। একদা বামেদের গড় হিসাবে পরিচিত কাশীপুরে ২০১১ সালে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পর এলাকার প্রচুর উন্নয়নের কাজ করলেও ২০১৯সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভায় কাশীপুর এলাকার মানুষ বিজেপিকে ভোট দেন। তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাশীপুরের সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের তিনটি আসন তৃণমূল দখল করে। লোকসভাতেও আরও ভালো ফল করার জন্য তৃণমূল জোর দিয়েছে। সভা, সমিতি, বাড়ি বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে তৃণমূল মানুষের বাড়িতে যাচ্ছে। কাশীপুর বিধানসভাকে বিশেষ নজর দিতে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিরামের সমর্থনে হুড়াতে প্রথম নির্বাচনের সভা করেছেন। সেই সভা তৃণমূল কর্মীদের অক্সিজেন জুগিয়েছিল। এদিন দেবের রোড শোয়ে প্রচারে আরও এগিয়ে গেল তৃণমূল। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
এদিন তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে দেবকে ক্যামেরাবন্দি করতে আসা কিশোরী জয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, আশালতা বাউরি বলেন, আমরা দেবের ফ্যান। দেবের সিনেমা আমাদের বেশ ভালো লাগে। তাই দেব আসবে জানতে পেরে এসেছি। দেবকে চোখের সামনে দেখলাম। খুব ভালো লেগেছে। তবে আশা ছিল দেবের সঙ্গে সেলফি তুলব। কিন্তু এত ভিড়ে সামনে যেতে পারিনি।
রোড শো শেষে দেব বলেন, এদিন দুপুরের ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করেও মানুষ শান্তিরামবাবুকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন। ছাত্র, যুব, মহিলা সকল স্তরের মানুষের সাড়াই বলে দিচ্ছে উনি জিতছেন।
রোড শো প্রসঙ্গে সৌমেনবাবু বলেন, গতবার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে বুঝে গিয়েছে উন্নয়নের কাজ তৃণমূলই মানুষের জন্য করে। তাই মানুষ মুখিয়ে আছে। ২৫ মে কাশীপুরের মানুষ চোখ বুঝে তৃণমূলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
যদিও পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, এদিন কাশীপুরের রোড শোতে পাঁচশোর বেশি লোক ছিল না। তৃণমূলের লোকের চেয়ে পুলিসের সংখ্যা ছিল বেশি। মানুষ তৃণমূলের আসল রূপ বুঝতে পেরেছে।