প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
শান্তিতে ভোট মিটলেও, ভোটের পর কিছু এলাকায় অশান্তি ছড়াতে পারে। এমন তথ্য পেয়েই পুলিস জেলায় কয়েক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ভোটের বেশ কয়েকদিন আগে বেলডাঙা, শক্তিপুর ও রেজিনগর এলাকায় অশান্তির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী দু’দিন ধরে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এবার নির্বাচনের পর সেই আশঙ্কা থেকে তিন কোম্পানি বাহিনী জেলায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার ৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলেও তিন কোম্পানি রয়ে গিয়েছে। এখন উপদ্রুত এলাকায় শান্তি ফেরাতে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিসের ভরসা এই বাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শক্তিপুরে অশান্তির ঘটনায় রাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারা এলাকায় পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
জেলা প্রশাসনের এক অধিকারিক বলেন, নির্বাচনের পর যাতে সমস্ত এলাকায় শান্তি বজায় থাকে, তারজন্য আমরা পুলিসি টহল বাড়িয়েছি। কোথাও প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রং রুম পাহারায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলায় সর্বত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কোনও অভিযোগ নেই। তবে নির্বাচনের পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। বিজেপির অভিযোগ, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস রোখার ক্ষমতা নেই রাজ্য পুলিসের। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখতে হচ্ছে। তাহলে রাজ্যের অন্যান্য নির্বাচনে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয় না, প্রশ্ন তুলছে বিজেপি নেতৃত্ব।
বহরমপুরের বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় যেভাবে কোনও ঝামেলা ছাড়াই ভোট হয়েছে, তার জন্য শুধুমাত্র কৃতিত্ব প্রাপ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের। এটা থেকে রাজ্যের শিক্ষা নেওয়া উচিত। মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে রক্তপাতহীন ভোট করে দেখিয়ে দিয়েছে কমিশন। তাই এখন ভোটের পরবর্তীতে কোনও সমস্যা হলে তা রোখার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে জেলা প্রশাসনকে। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা অশোক দাস বলেন, রাজ্য পুলিস যথেষ্ট দক্ষ। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তারাই পরিচালনা করেছে। সুতরাং নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনার জন্য কৃতিত্ব রাজ্য পুলিসেরই প্রাপ্য। প্রশাসন চায় কোথাও যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাই মাত্র তিন কোম্পানি বাহিনী রেখে দিয়েছে।