প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এর আগে শতাব্দী ভোটপ্রচারে ও অন্যান্য দলীয় কাজে গিয়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় জলের সমস্যা বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। বাসিন্দারা তাঁর কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। সেইসব অভিযোগ খাতায় লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন শতাব্দী। সেইসব কাজকেই তিনি ভবিষ্যতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জেলার মাটির নীচের জলস্তর দিন দিন আরও নামছে। জেলার বেশ কয়েকটি ব্লক বিশেষ করে মুরারই, রাজনগর, মহম্মদবাজার, খয়রাশোল এই জায়গাগুলিতে ভৌম জলস্তরের সমস্যা রয়েছে। এই সরকারের আমলে তা অনেকটা মিটলেও আগামীতে জলসঙ্কট অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করি। সেক্ষেত্রে ফের বীরভূমের মানুষ আরেকবার আমায় সাংসদ নির্বাচিত করলে জল নিয়ে প্রথম ভাবনাচিন্তা করব। নতুন কোনও প্রোজেক্ট করা যায় কি না, সেটা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়াও কোথাও কোথাও ব্রিজের অভিযোগ মানুষ জানিয়েছেন। সেগুলোও করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শাসকদলের নেতাদেরও দাবি, পানীয় জলের দাবি অনেকটাই মেটানো গিয়েছে। এখনও যে সব ব্লকে সমস্যা রয়েছে সেখানে নতুন প্রোজেক্টের ভাবনা চলছে। যেমন, মুরারইএ পরিত্যক্ত খাদানের জমা জল থেকে গৃহস্থের জলের চাহিদা মেটানো, সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় জল জমিয়ে রেখে তা পরিস্রুত পানীয় হিসেবে ব্যবহার করার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি জলস্বপ্ন প্রকল্প তো রয়েইছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের প্রায় ৩৬ শতাংশ কাজ এগিয়েছে। ফলে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে এই আমলে কী কী কাজ হয়েছে সেকথা তুলে ধরছেন তৃণমূল নেতারা। সিউড়ি শহরেও প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ের নতুন জলপ্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
সিউড়ির বিধায়ক তথা তৃণমূল জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, আমরা আলাদা আলাদা করে জেলাভিত্তিক কোনও ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করিনি। কিন্তু সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আমরা আগে ভাবি। রাঙামাটির বীরভূমের চালচিত্র একেবারে এখন বদলে গিয়েছে। রাস্তাঘাট সব ঝাঁ চকচকে হয়েছে। এবার কিছু জায়গার জল সমস্যা নিয়ে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। জেলাপ্রশাসন যেমন এই বিষয়ে কাজ করছে, তেমনই আমরা জনপ্রতিনিধিরাও গুরুত্ব দেব। শতাব্দীও দিল্লিতে আলাদা করে বীরভূমের জন্য আলাদা প্রোজেক্টের দাবি জানাবেন।
অন্যদিকে, জল সমস্যা মেটাতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপিও। সিউড়ির বেণীমাধব স্কুল মাঠে যোগীজির সভামঞ্চ থেকে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি দীপক দাস বলেছেন, বীরভূমের জলসমস্যা নিয়ে ৩ বারের সাংসদ কোনও কাজ করেননি। সিউড়ি শহরের ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ব্যাপক জলকষ্ট। কেন্দ্রীয় সরকার জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি জল দেবে। ম্যাসাঞ্জোর ড্যাম থেকে বিকল্প রাস্তায় জল আনা হবে।
ফলে বোঝাই যাচ্ছে জলই ছিল দুই দলের লড়াইয়ের ইস্যু। ইতিমধ্যে ভোট শেষ। বীরভূমবাসী তাঁদের জলকষ্ট দূর করতে কাকে সাংসদ হিসাবে বেছে নিয়েছেন, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ৪ জুন পর্যন্ত।