যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাড়া এবং রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লক নিয়ে পাড়া বিধানসভাটি গঠিত। একদা বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত বিধানসভা এলাকাটি ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বিজেপির গেরুয়া শিবির ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে সক্ষম হয়। জেলার একমাত্র রঘুনাথপুর ২ নম্বরে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতি ভোট গঠন করে। ২০১৯ সালে বিজেপির পালে হাওয়া লাগে। তাই লোকসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র পাড়া বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী প্রায় ৪১ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল। তবু তৃণমূলের নেতৃত্ব ভেঙে পড়েনি। বরং ভুলভ্রান্তিগুলি সংশোধন করে বিধানসভার প্রচারে নেমেছিল। তার ফলও পেয়েছিল হাতে হাতে। গত বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী বিজেপির কাছে হেরেছিল। তবে ভোটের মার্জিন দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৪২০০। দলে আবার শুরু হয় সংশোধন। বদল করা হয় দুই ব্লকের সভাপতিকে। পাড়া ব্লকে শিক্ষক তথা প্রাক্তন বিধায়ক উমাপদ বাউরিকে এবং রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লকে শিক্ষক সঞ্জয় মাহাথাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুরু হয় বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন। গত পঞ্চায়েতে নির্বাচনের আগে একের পর এক বৈঠক, সভা, প্রচার তৃণমূলের ভোট বৃদ্ধি করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধানসভার ১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৪টি তৃণমূল এককভাবে ক্ষমতা দখল করে। ত্রিশঙ্কু দু’টি পঞ্চায়েতে নির্দল ও বিজেপির জোটে বোর্ড গঠন করে। তবে দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সব আসনে তৃণমূল জয়ী হয়। জেলা পরিষদের পরিসংখ্যান অনুসারে, তৃণমূল বিজেপির থেকে প্রায় ৩৭ হাজার (পাড়া ব্লক ২৪ হাজার এবং রঘুনাথপুর ২ ব্লক ১৩ হাজার) ভোটে এগিয়ে যায়। এখন সেই ভোটকে ধরে রাখার জন্য তৃণমূলের সমস্ত গণসংগঠনের কর্মীরা একত্রিত হয়ে রাতদিন এক করে প্রচার শুরু করেছে।
যদিও বিজেপি নেতৃত্ব পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা ভোটকে এক মানতে নারাজ। পাড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নদীয়ার চাঁদ বাউরি বলেন, পঞ্চায়েত ভোট কেমন ভাবে হয়েছে তা সব মানুষ দেখেছে। অন্যদিকে চাকরি চোর তৃণমূলের অপশাসন মানুষ চোখে দেখছে। তাই লোকসভা নির্বাচনে মোদির গ্যারান্টি এবং বিজেপির উন্নয়ন দেখে মানুষ ভোট দেবে। পাড়া বিধানসভায় ২০১৯ সালের থেকে বেশি ভোটে লিড পাবেন জ্যোতির্ময় সিং মাহাত।
পাড়া বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক তথা পাড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি উমাপদবাবু বলেন, এবারে নির্বাচন তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন বনাম মোদির অপশাসনের লড়াই। রাজ্যের মানুষ দেখছে বিজেপির অপশাসনে বাংলায় একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি মুখে বড় বড় কথা বললেও মানুষের উন্নয়নের একটাও কাজ করেনি। তাই তৃণমূলের জিত নিশ্চিত।