কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রে বিজেপির কোন্দল প্রথম থেকেই প্রকাশ্যে আসে। ‘বহিরাগত প্রার্থী’ মানা হবে না বলে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়েছিল। দলের রাজ্য কমিটির এক নেতা তৃণমূলের যোগ দিয়ে তোপ দাগতে থাকেন। সংগঠন দুর্বল থাকার কারণে বহু বুথেই বিজেপির এজেন্ট ছিল না। মেমারি, জামালপুর, রায়নার মতো এলাকাগুলিতে অবস্থা সবচেয়ে খারাপ ছিল। তৃণমূল নেতারা দাপিয়ে ভোট করেন। প্রতিটি বুথের সামনে তারা ক্যাম্প করেছিল। কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই কর্মীর অভাবে ক্যাম্প করতে পারেনি। দলের এক নেতা বলেন, রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজনীতি লম্বা ইনিংস। তাই যারা ভাবছে দলের বিরোধিতা করে নেতাদের শিক্ষা দেবে তাদের সিদ্ধান্ত ভুল। ভোটের ফল বেরনোর পর শুদ্ধিকরণ হবে।
বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রে সিএএ বিজেপির অন্যতম তাস ছিল। মতুয়া ভোট টানার জন্য তারা সবরকম কৌশল নিয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী বারবার দাবি করেছেন, নাগরিকত্বের জন্য তাঁরাই আন্দোলন করেছেন। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ লাগু করেছে।
ভোটের আগেরদিন পর্যন্ত তৃণমূলের হাতেও সিএএ অন্যতম ইস্যু ছিল। শাসকদল দাবি করে, নাগরিকত্ব দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে বিনা শর্তে তা দিতে পারত। তা না দিয়ে বেশকিছু শর্ত আরোপ করেছে। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, সিএএ এনআরসির ফাঁদ। সেটা এখানকার ভোটাররা বুঝে গিয়েছেন। সেই কারণে তারা বিজেপিকে ইভিএমে উচিত শিক্ষা দিয়েছে। ওদের দলের অনেক নেতাও বিষয়টি মানতে চায়নি। সেই কারণেই তারা ভোটের দিন পথে বেরয়নি। এই কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী এক লক্ষের বেশি ভোটে জিতছে। এনিয়ে কোনও সংশয় নেই।
ভোটপ্রচারের শুরু থেকে দলেরই একাংশ বিজেপি প্রার্থীর অস্বস্তির কারণ ছিল। তারা বারবার তোপ দেগেছে। সহযোগিতার হাত তারা বাড়িয়ে দেয়নি। ভোটের দিনও একই ছবি দেখা গেল।