প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগের আরাণ্ডি গ্রামে ব্যাপক অশান্তি হয়। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। দু’দলের মাঝে পড়ে গ্রামবাসীরাও আহত হয়েছিলেন। আক্রান্ত হয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। সেই ঘটনা মনে পড়লে আজও শিউরে ওঠেন ওই গ্রামের সাধারণ মানুষ। তাই তাঁরা অনেকদিন ধরেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিজেদের এলাকায় করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ, তাঁদের কথা শোনা হয়নি। তাই এদিন তাঁরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। ভোট বয়কটের ডাক দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের মহল্লাপাড়া থেকে বুথ কেন্দ্রটি প্রায় দু’কিমি দূরে অবস্থিত। আমরা তৃণমূলের সমর্থক। আমাদের আরাণ্ডি গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় ২৬৫ নম্বর বুথে ভোট দিতে যেতে হয়। ওই বুথে যেতে গেলে দক্ষিণপাড়ার উপর দিয়ে যেতে হয়। সেখানে বিজেপির ছেলেরা লাঠি, রড, শাবল নিয়ে বসে থাকে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে আমাদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য আমরা আমাদের পাড়ায় ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। আর তা না হলে এখন থেকেই ওই এলাকায় কড়া পুলিসি ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
বিজেপির আরামবাগ লোকসভা কনভেনর হেমন্ত বাগ বলেন, গত বিধানসভা ভোটে বহিরাগতদের নিয়ে হামলা শুরু করেছিল তৃণমূল। সাধারণ মানুষ তাদের প্রতিহত করে। গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল ব্যাপক রিগিং ও ছাপ্পা দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ফলে ওরা ছাপ্পা দিতে পারবে না ভেবেই নাটক শুরু করেছে।