গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক ও পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্তর বক্তব্য, আমরা রায়গঞ্জ মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে পারিনি। কারণ এজন্য একটা বড় অঙ্কের টাকার প্রয়োজন ছিল।
বর্ষা আসতে এখনও দেরি। জুনের প্রথম সপ্তাহে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে কেরলে। বর্ষা আসার আগেই শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুর কর্তৃপক্ষ। কারণ রায়গঞ্জ শহরে নিকাশির একটা বড় সমস্যা রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই জলে ডুবে যায় গোটা শহর। ভারি বৃষ্টি হলে টানা কয়েকদিন শহর জলমগ্ন থাকে। মোহিতবাবুর সংযোজন, বর্তমান পুর বোর্ড তো ডাবল ইঞ্জিন। পুরসভার পাশাপাশি তারা রাজ্যেও ক্ষমতায় আছে। তারাই আবার মেয়াদ শেষে প্রশাসক বোর্ডে রয়েছে। এদিকে উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় হচ্ছে। তারা কেন মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে পারছে না?
মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছেন রায়গঞ্জ পুর প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, মাস্টার প্ল্যানের কথা শুনলেই রায়গঞ্জের মানুষ এখন ভয় পান। একটা সময় এই কংগ্রেস মাস্টার প্ল্যানের ললিপপ দেখিয়ে রায়গঞ্জ পুরসভা, রায়গঞ্জ বিধানসভা ও রায়গঞ্জ লোকসভা আসন জিতেছে। তারপরেও রায়গঞ্জ পুরসভায় মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে ব্যর্থ কংগ্রেস। নিজেরা কাজ করতে না পেরে কংগ্রেস এখন অন্যের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
পুরপ্রশাসকের সাফ কথা, বাংলার সরকার উন্নয়নের সরকার। তাই আমাদের কোনও মাস্টার প্ল্যান প্রয়োজন হয় না। শহরবাসীর সুবিধার্থে যখন যেটা প্রয়োজন তখনই সেই কাজ করা হচ্ছে।
মাস্টার প্ল্যান ইস্যুতে তৃণমূল ও কংগ্রেসকে বিঁধেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। তাঁর বক্তব্য, শুধুমাত্র নিকাশি সমস্যা নয়। এই শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাও বেহাল। দূষণের জন্য কুলিক নদীর নাব্যতা হারিয়েছে। কেউই কোনও কাজ করেনি। বর্তমান পুর প্রশাসক বোর্ড শহর সৌন্দর্যায়নের নামে রাস্তার ধারে কিছু গাছ লাগিয়েছে। যার অধিকাংশই মরে গিয়েছে।
সবমিলিয়ে শহরের নিকাশি মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তরজায় মেতেছে সবাই।