কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরের দাদাভাই ক্লাবের মোড় থেকে শুরু করে ডাঙাপাড়া হয়ে পান্ডাপাড়া কালীবাড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিমি রাস্তা বহুদিন ধরে বেহাল। রাস্তাটির একদিকে পুরসভার ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। অন্যদিকে খড়িয়া পঞ্চায়েতের তিনটি বুথ এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলার বিমল রায়চৌধুরীর বক্তব্য, এক দশক আগে পুরসভার তত্ত্বাবধানে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। তারপর আর রাস্তা সংস্কার হয়নি। তাই বিভিন্ন জায়গায় পাথর উঠে গিয়ে গর্ত হয়েছে। কিছু জায়গায় পাথর নেই, মাটি বেরিয়ে এসেছে। বিষয়টি পুরসভা ও জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জুলি রায় জানান, ভাঙাচোরা রাস্তায় প্রায়দিনই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ি গেলে ধুলো ওড়ে। পরিস্থিতি এমন যে, দিনের বেলায় দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতে হয়। ধুলোর জন্য বয়স্ক ও শিশুদের সমস্যা হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট বাড়ছে।
প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। সারাক্ষণ ছোট-বড় গাড়ি চলে। বেরুবাড়ি পঞ্চায়েত ছাড়াও হলদিবাড়ি থেকে আসা লোকজন হাসপাতালে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন। পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষ বলেন, রাস্তার অবস্থা সত্যিই বেহাল। অত্যন্ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেহেতু রাস্তাটি পঞ্চায়েতের মধ্যে, তাই রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব জেলা পরিষদের। বিষয়টি পরিষদকে জানানো হয়েছে।
যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পূর্ণিমা দত্তের দাবি, রাস্তাটি পুরসভা এলাকায়। এর আগেও পুরসভার তত্ত্বাবধানে রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়েছিল। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য পুরসভা এবং জেলা পরিষদ দু’পক্ষের কাছেই দাবি জানাব। রাস্তার বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন জানান, রাজ্য সরকার গ্রামগঞ্জের রাস্তাও ঝাঁ চকচকে করে দিচ্ছে। বিষয়টি দেখে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নিজস্ব চিত্র