জ্ঞাতি ও বন্ধুদের মধ্যে শত্রুবৃদ্ধি ও উদ্বেগ। গুণীব্যক্তি বা উচ্চ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি। আয় ... বিশদ
মালদহের জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, দীর্ঘ মেয়াদি ঠান্ডা, আচমকা বৃষ্টি এবং প্রবল তাপপ্রবাহ একযোগে জেলায় আমের উৎপাদনে বড়সড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। শীতের উপস্থিতি এবার বেশ কিছুদিন বেশি থাকায় একে মুকুল আসতে দেরি হয়েছে। তারপরেই বৃষ্টি হওয়ায় মুকুল থেকে আসা ফুলের পরাগরেণু ঝড়ে পড়েছে। মৌমাছি বা অন্যান্য পতঙ্গের মাধ্যমে পরাগ সংযোগ অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়নি। প্রবল তাপপ্রবাহও আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। সবমিলিয়ে আমের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মার খেয়েছে। উদ্যান পালন দপ্তর বলছে, মালদহে গড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি আম উৎপাদন হয়। কিন্তু এবার তা ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বিশেষত সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে ল্যাংড়া আমের উৎপাদন। এই আমের চাহিদা শুধু মালদহেই নয়, সারা রাজ্য এবং দেশেও। কিন্তু চাহিদার তুলনায় জোগান কমে গেলে অর্থনীতির নিয়মেই এই আমের দাম অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
তবে আম উৎপাদনে ক্ষতি হলেও জেলায় লিচুর উৎপাদন মোটের ওপরে একইরকম থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক। বলেছেন, লিচুর মুকুল ফেটে ফুল খানিকটা দেরিতে এসেছে। ফলে আচমকা বৃষ্টিতে সেই ফুলের পরাগরেণু ধুয়ে যায়নি। এছাড়া লিচুর বোঁটাও আমের তুলনায় খানিকটা শক্ত। তাই মালদহে লিচুর উৎপাদনে আবহাওয়ার ততটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।
মালদহে প্রতি বছর গড়ে ১৫ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয় বলে উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এবছর সেই উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা তেমন নেই।
মালদহের অর্থনীতি আম ও লিচুর ওপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। কয়েক লক্ষ মানুষ এই ফল কেন্দ্রিক অর্থনীতির ওপরে নির্ভর করে থাকেন। ফলে আমের উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেলে তাঁরাও সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করছেন জেলা ম্যাঙ্গো মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।