প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এদিন সকাল ৮টা নাগাদ বাগানের পিবি ৬ নম্বর সেকশনে বিষ্ণু ওরাওঁয়ের উপর চিতাবাঘ ঝাপিয়ে পড়ে। তাঁকে উদ্ধার করে চা বাগান কর্তৃপক্ষ লুকসান হাসপাতালে নিয়ে যায়। কয়েকঘণ্টা পর বাগানের অন্য সেকশনে চিতবাঘের হামলার আতঙ্ক ছড়ায়। বেলা ১১টা নাগাদ বাগানের ৭বি সেকশনে অম্বি ওরাওঁ নামে আরএক মহিলা চা শ্রমিককে হামলা করে চিতাবাঘ। তাঁকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাগান কর্তৃপক্ষের থেকে খবর পেয়ে বিন্নাগুড়ি ও ডায়না রেঞ্জের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে আলাদা সেকশনে দু’জন শ্রমিকের উপর চিতাবাঘ আক্রমণ করায় আতঙ্ক তীব্র হয়। জখম মহিলা শ্রমিক বলেন, আমরা কাজ করছিলাম। হঠাত্ই নালা থেকে চিতাবাঘটি উঠে এসে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। চা পাতার ব্যাগ দিয়ে চিতাবাঘকে পাল্টা আঘাত করি। আশেপাশের শ্রমিকদের চিৎকারে চিতাবাঘটি ফিরে চলে যায়। অন্য মহিলা শ্রমিকরা বলেন, কাজ করার সময় চিতাবাঘের হামলার মুখে পড়তে হবে, তা আগে ভাবিনি। চিতাবাঘটি পালিয়ে গেলেও আমরা আতঙ্কে আছি। এদিন দু’টি সেকশনে একই চিতাবাঘ ছিল কি না, সে বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য আসেনি। শ্রমিকদের দাবি, দু’টি সেকশনের মধ্যে অনেকটাই দূরত্ব রয়েছে। তাই একটি চিতাবাঘই এই আক্রমণ করেছে, সেটা মানা কঠিন। এদিনের ঘটনায় লক্ষীপাড়া চা বাগানের শ্রমিককল্যাণ আধিকারিক সুদীপ্ত দাস বলেন, বাগানের দু’জন শ্রমিক চিতাবাঘের হানায় জখম হন। আমরা ওদের সবরকমভাবে সাহায্য করছি। বাকিটা বনদপ্তর করছে। বাগানে চিতাবাঘ ধরার একটি খাঁচা পাতা রয়েছে। আরও একটি খাঁচা পাতার আবেদন করা হবে।
গোটা বিষয় নিয়ে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ শাখার রেঞ্জার ধ্রুবজ্যোতি বিশ্বাস বলেন, বনদপ্তরের নিয়ম মেনে জখমদের সরকারিভাবে সাহায্য করা হবে। বাগান কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে চা বাগানে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হবে।