প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
এবার জেলায় প্রথম হওয়া ধূপগুড়ির ডাউকিমারি ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত প্রথম পাঁচজনের মধ্যে চারজনই ছাত্রী। শিক্ষামহলের দাবি, কন্যাশ্রী এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প অনেক কিশোরীর পড়াশোনায় সাহায্য করেছে। গ্রামীণ এলাকায় পড়াশোনার প্রতি উত্সাহ জোগাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প।
মেয়েদের এই সাফল্যে খুশি ধূপগুড়ির বিধায়ক ডঃ নির্মলচন্দ্র রায়। তিনি বলেন, একটা সময় নানা কারণে মেয়েরা পড়াশোনায় পিছিয়ে ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প তাদের পড়াশোনা নিয়ে নানা বাধা কাটিয়েছে। পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলেছে। বই-খাতা, গৃহশিক্ষক রাখার খরচ নিয়ে কোনও বাবা-মাকে ভাবতে হয়নি। ধূপগুড়ির শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭০ জনের মতো পরীক্ষা দিয়েছেন। তার মধ্যে ৯৯ জন ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন। তুলনায় ছাত্রদের পাশের সংখ্যা অনেক কম। কেবল ৫৮ জন ছাত্র পাশ করেছেন। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে পূজা বিশ্বাস। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৪।
প্রধান শিক্ষক সুদীপ সিনহা বলেন, এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাশের হার বেশি। ধূপগুড়ি ডাউকিমারি স্কুলে ৭৫ শতাংশের উপরে পেয়েছেন ২২ জন। তারমধ্যে মাত্র পাঁচজন ছেলে। প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ রায় বলেন, স্কুলে ২৭৮ জন উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। তারমধ্যে ১৭৩ জন ছাত্রী এবং ১০৫ জন ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছে। ছাত্ররা পিছিয়ে পড়ায় অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসঙ্গও তুলছেন। শিক্ষামহলের কথায়, অনেক ছাত্রই মোবাইল ফোনে সারাদিন সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। এতে মনোসংযোগের ব্যাঘাত ঘটছে। ভালো ফলাফল করার ব্যাপারে যা অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বানারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, তুলনামূলকভাবে জলপাইগুড়ি জেলার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে খারাপ ফলাফল হচ্ছে। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলার স্কুলগুলিতে বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই জাতীয় সমীক্ষা হয়নি।