কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
জেলার আর একটি চা বলয় মাদারিহাটে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা একজন। চা বলয়ের সঙ্গে শহর এলাকাতেও ডেঙ্গু দ্রুত ছড়াচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট অনুসারে ফালাকাটা পুর এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন দু’জন। ডেঙ্গু আক্রন্ত বাকি আটজন গ্রামীণ এলাকায়। স্বাস্থ্যদপ্তর অবশ্য জানিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। উদ্বেগের কিছু নেই। তবে কালচিনির চা বাগানগুলিতে কেন ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর কালচিনির চা বাগানগুলিতে ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণ খতিয়ে দেখতে প্রতিদিনই বিশেষ টিম পাঠাচ্ছে। শুক্রবারও কালচিনির আঁটিয়াবাড়ি চা বাগানে দপ্তরের একটি টিমকে পাঠানো হয়।
জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুপ্রিয় চৌধুরী বলেন, কালচিনিতে এ বছর ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। চা বলয়ের ওই ব্লকে ডেঙ্গুর প্রকোপের পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। সেই কারণ খতিয়ে দেখতেই জেলা থেকে প্রতিদিন টিম পাঠানো হচ্ছে। শনিবার আমি নিজেও যাচ্ছি ওই ব্লকের একটি বাগানে। তবে জেলায় ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। কারণ আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
স্বাস্থ্যদপ্তরের চিন্তা চা বলয় মাদারিহাট ব্লক নিয়েও। এখনও পর্যন্ত মাত্র একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও মাদারিহাটও কালচিনির মতো চা বলয় ব্লক। ওই ব্লকে ১৯টি বাগান আছে। ফলে পাশের ব্লক কালচিনিতে এ বছর ৩৩ জন আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যদপ্তরের চিন্তা বাড়ছে মাদারিহাট ব্লক নিয়েও।
এ বছর আলিপুরদুয়ার শহরে এখনও পর্যন্ত কোনও ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর নেই। কিন্তু জেলাজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আলিপুরদুয়ার পুরসভা কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। সেজন্য শুক্রবার থেকে পুর এলাকার নিকাশি নালা, রাস্তাঘাট ও অফিস সাফসুতরোর কাজ পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার ভেক্টরবর্ণ ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের নোডাল অফিসার বিমলেন্দু তালুকদার বলেন, এ বছর পুর এলাকায় কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হননি। কিন্তু আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না। তাই নালা নর্দমা, রাস্তাঘাট, সরকারি অফিস সাফাই অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখন থেকে এই কর্মসূচি লাগাতার চলবে। মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে।