গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
আবার শিক্ষক সংগঠনের দাবি, জেলার চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার স্কুলের পরীক্ষার্থীরা অনেকটা পিছিয়ে পড়াতেই রাজ্যের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলা অনেকটাই পিছনের সারিতে থেকে গিয়েছে।
জেলা থেকে এবার ২২ হাজার ৩৪৩ জন পরীক্ষায় বসেছিল। তার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৯ হাজার ৮২৪ জন ও ১২ হাজার ৫১৯ জন ছিল ছাত্রী। তার মধ্যে ছাত্রদের পাশের হার ৭৪.৪৮ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাশের হার ৭১.৭১ শতাংশ। সার্বিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সুনীতিবালা সদর গার্লস স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা সুতপা দাস বলেন, প্রতিবারই আমাদের স্কুলের ফল ভালো হয়। মেধাতালিকাতেও পড়ুয়াদের নাম থাকে। কিন্তু এবার নেই। তিনি বলেন, দশম শ্রেণিতে উঠলেই অনেক পড়ুয়ার স্কুলে ক্লাস করার প্রবণতা কমে। আর এতেই বিপদ বাড়ে। দেখা গিয়েছে যে সব পড়ুয়াদের স্কুলে উপস্থিতির হার ভালো, তাদের ফলও তুলনামূলকভাবে ভালো হয়। গভর্নমেন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জনা দে ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের স্কুল আগে মেধাতালিকায় থাকত। অনেক কৃতী ছাত্রী স্কুলের সম্মান বাড়িয়েছে। নানা কারণে অল্পের জন্য থাকা যায়নি। তাঁর মতে পড়ুয়াদের সাফল্যের ক্ষেত্রে অন্তরায় মোবাইলের প্রতি আসক্তি ও যথেচ্ছ সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। তবে এখনও আমরা যথেষ্ট আশাবাদী আগামীতে ভালো ফল হবে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি অঞ্জন দাস বলেন, জেলার চা বাগান অধ্যুষিত এলাকার স্কুলের পরীক্ষার্থীরা অনেকটা পিছিয়ে পড়াতেই, রাজ্যের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলা অনেকটাই পিছনের সারিতে থেকে গিয়েছে। আমরা অবস্থার পরিবর্তনের আশায় আগামীদিনে শিক্ষকদের নিয়ে এব্যাপারে বৈঠকে বসব। বিচার বিশ্লেষণ করা হবে যাতে অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো যায়।