প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
মতুয়া অধ্যুষিত কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার মাজদিয়ায় সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, সিএএ বলবৎ করে মতুয়াসমাজকে নাগরিকত্ব দেব। হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর, বড়মা তিনজনকেই প্রণাম জানাই। কারও ক্ষমতা নেই এরাজ্যে সিএএ বাতিল করার। এই একই কথা আওড়াতে শোনা গিয়েছে রামপুরহাটেও। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, মমতা দিদি অনুপ্রবেশকারীদের লাল চাদর বিছিয়ে স্বাগত জানান। কারণ ওরা আপনার ভোটব্যাঙ্ক। হিন্দু, শিখ যাঁরা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করছেন আপনি। এখানে হাজার হাজার লোক বসে রয়েছে। আপনারই এর বিচার করবেন।
নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে বিজেপির সেকেন্ড ইন কমান্ড সুর সপ্তমে চড়ালেও এদিন তাঁর দু’টি সভাতেই তাঁর কথার সমর্থনে হাততালির শব্দ বিশেষ শোনা যায়নি। সভায় উপস্থিত বিজেপিরই কিছু কর্মী বলেন, সিএএর জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব যাবে না, একথা মতুয়াদের বোঝাচ্ছে শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু আধার কার্ড, ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন শর্তসাপেক্ষে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে? এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হচ্ছে না। আমরাও মানুষকে বোঝাতে পারছি না। প্রসঙ্গত, গত দু’মাস রানাঘাট কেন্দ্রে নাগরিকত্বের সমর্থনে গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে গিয়ে পদ্মশিবিরের কর্মীদের বহু প্রশ্নের মুখে পড়ে নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মৌখিক আশ্বাসে খুব একটা লাভ হবে বলে তাঁরা মনে করছেন না। সিএএ লাগু হওয়া নিয়ে বিজেপির প্রতিশ্রুতিতে যে চিঁড়ে ভেজেনি, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন খোদ মতুয়ারাই। এদিন অমিত শাহের মাজদিয়ার সভায় কাঁসর, ডঙ্কা, নিশান নিয়ে মতুয়াদের অনুপস্থিতিতে তারই ইঙ্গিত মিলেছে। মতুয়াদের অনেকেই বলছেন, ২০১৪ সালে বিজেপি যখন ক্ষমতায় এল, সেইসময়ই ওরা বলেছিল নাগরিকত্ব নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এরপর বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও একই প্রতিশ্রুতি দিল। তাহলে লোকসভার আগে কেন সিএএ লাগু হল? নাগরিকত্ব যদি শর্তসাপেক্ষেই গ্রহণ করতে হয়, তাহলে আবেদন করার প্রশ্নই ওঠে না।