প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ওষুধের দোকান খুলতে গেলে মালিক বা পরিচালকের ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসি (ডি-ফার্ম) সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। আর এই কলেজগুলিতে সেই কোর্সই চলে। কিছু কলেজে বি-ফার্ম কোর্সও করায়। সেখানে পড়ুয়া ভর্তি করা হয় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের র্যাঙ্কের ভিত্তিতে। আর ডি-ফার্মের ক্ষেত্রে ভর্তির যোগ্যতা বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।
সূত্রের খবর, ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যে এই ধরনের কলেজ ছিল ৩৮টি। পিসিআইয়ের পাশাপাশি এআইসিটিইর অনুমোদনও প্রয়োজন ছিল। তবে, সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের পরে আবেদনের শর্ত কিছুটা শিথিল হয়। এআইসিটিইর অনুমোদন আবশ্যিক শর্তের তালিকা থেকে বাদ পড়ে। সেটি শুধু বি-ফার্ম কলেজগুলির জন্য প্রযোজ্য থাকে। তাই এখন সেই সংখ্যাটি গিয়ে দাঁড়িয়েছে দু’শোর কাছাকাছি। ২০২৩-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় আড়াইশো আবেদন জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। বহু বেসরকারি বিএড মালিক এই ফার্মেসি কলেজের আবেদন জানিয়েছেন।
তবে, অনেক ফার্মেসি কলেজের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছিল, তারা চূড়ান্ত অনিয়ম করে চলেছে। তাই পিসিআইয়ের এই পরিদর্শন অনেকেরই কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, পরিদর্শনের সময় অধ্যক্ষ, সমস্ত শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিত থাকতে হবে। প্রত্যেক ছাত্রের পিসিআই পোর্টালে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং শিক্ষক ও ছাত্রদের স্মার্ট কার্ড থাকতে হবে। শিক্ষকদের কাছে সমস্ত নথি প্রস্তুত থাকতে হবে। কলেজে ক’টি ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি, কমন ফেসিলিটি, কম্পিউটার ল্যাব প্রভৃতি রয়েছে, তা একটি সক্রিয় কিউআর কোডে নথিভুক্ত রাখতে হবে। পরিদর্শকরা প্রয়োজনে সেগুলি ঘুরে দেখবেন।
একেবারে নতুন কলেজগুলির ক্ষেত্রে সোমবার থেকেই পরিদর্শন শুরু হয়ে যাচ্ছে। তবে, পুরনো কলেজগুলিতে আচমকা পরিদর্শনে যেতে পারে প্রতিনিধি দল। একটি ফার্মেসি কলেজের মালিক মলয় পিট বলেন, ‘চাইছিলাম এই পরিদর্শন হোক। কলেজগুলিকে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো এবং শিক্ষক নিয়ে চলতে হবে। ফার্মেসি কোর্সটি মেডিক্যালের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর সঙ্গে বহু মানুষের জীবন জড়িয়ে থাকে। অতএব, সেখানে কোনওরকম গাফিলতি চলতে পারে না।’