গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
রাজহাটি-১ পঞ্চায়েত এলাকা ভোটের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন জখম হন। আক্রান্ত হন বিজেপির প্রধান। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির লোকজন আগে থেকে হামলা করে। বিজেপির পাল্টা দাবি, তাদের লোকজন এক জায়গায় বসেছিল। সেই সময় তৃণমূল আচমকা হামলা চালায়। পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের পূর্ব রাধানগর গ্রামে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিস ওই গ্রাম থেকে দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। খানাকুলের কেটেদল গ্রামেও বিজেপি দাদাগিরি চালায়। খানাকুলের মারোখানা, চিংড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে বিজেপি গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছিল। আরামবাগ শহরে একটি বুথে উত্তেজনা ছড়ায়। শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ ঘোষকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, ওই ওয়ার্ডে তাদের এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। মলয়পুর পঞ্চায়েতের বালিয়া এলাকায় তৃণমূলের তিন কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে। শ্যামল রায়, কালীপদ বাগ, শ্যামল মালিক নামে তৃণমূলের তিন কর্মীকে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। মায়াপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে।
যদিও সাধারণ ভোটারদের উৎসাহে খামতি ছিল না। সোমবার সকাল থেকে সাধারণ মানুষ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। আরামবাগ মহকুমার অনেক বুথেই বিজেপি এজেন্ট দিতে পারেনি। তৃণমূলও কিছু এলাকায় পিছিয়ে ছিল। গোঘাট-২ ব্লকের শ্যামবাজার পঞ্চায়েত এলাকায় চারটি বুথে বিজেপির এজেন্ট ছিল না। গোঘাটে সাতবেড়িয়া এলাকা ও পুখরিয়া গ্ৰামে তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ ভোট পরিচালনার কাজ দেখতে এলে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন। তাই নিয়ে মিতালি বাগের সঙ্গে এক গ্ৰামবাসীর বচসা হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা তৃণমূল প্রার্থীকে
সরিয়ে দেন। শাসক দলের প্রার্থী মিতালিদেবী বলেন, খানাকুল, পুরশুড়ার কিছু এলাকায় বিজেপি অশান্তি পাকিয়ে ছিল। তবে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের ভোট নিজে দিয়েছে। তাতেই আমরা জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। সিপিএম প্রার্থী বিপ্লব মৈত্র বলেন, খানাকুলের কয়েকটি জায়গায় বিজেপি ভোট করতে দেয়নি। এছাড়া ভালো ভোট হয়েছে। বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছিল। মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ভালোভাবেই ভোট হয়েছে।