প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
গতবার রাজ্যের হিমঘরগুলিতে প্রায় ৭২ লক্ষ টন আলু মজুত করা হয়। পরিমাণটি এবার প্রায় ৬৩ লক্ষ টন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আলুর উৎপাদন কিছুটা মার খেয়েছে। তারই প্রভাব পড়েছে মজুতের উপর। গতবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি দামে কেনা আলু হিমঘরে মজুত হয়েছে। তাই হিমঘর ঘুরে আসা আলুর দাম বেশিই থাকছে। এবার ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে কেনা জ্যোতি আলু হিমঘরে মজুত হয়। গতবার তা কেনা হয়েছিল ৯-১০ টাকায়। ক্রয়মূল্যের সঙ্গে যোগ হয় হিমঘরের ভাড়া ও অন্যান্য খরচ। সব মিলিয়ে এবার হিমঘর থেকে আলু বেরচ্ছে ২৪ টাকা কেজি দরে। হিমঘরে যাঁরা আলু রেখেছেন তাঁদের সামান্যই লাভ হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
গতবছর উত্তরপ্রদেশে আলুর দাম কম ছিল। সেখান থেকে আলু আসার আশঙ্কায় রাজ্যের হিমঘরে মজুত আলুর দাম বাড়েনি। এবার ইউপিতেও দাম চড়া। ফলে সেখানকার আলু এলেও এখানে দাম কমার আশা কম।
তবে পেঁয়াজের দাম এখনও স্থিতিশীল। রাজ্যে পেঁয়াজের ব্যাপক ফলনই এর মূল কারণ। পেঁয়জের খুচরো দাম চলছে মোটামুটি ৩০ টাকা। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, পাইকারি বাজারে বাংলার পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা ও মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ ১৯-২০ টাকায় বিকোচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্রেতা বাংলার ও মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজের পার্থক্য করতে পারেন না। তাই বহু খুচরো বিক্রেতা একই দামে দু’ধরনেরই পেঁয়াজ বেচছেন। জুলাই পর্যন্ত বাংলার পেঁয়াজের সরবরাহ বেশিই থাকবে। দামও স্থিতিশীল থাকবে ততদিন। আশা কমলবাবুর।