প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল সূত্র জানা গিয়েছে, ওই ব্লকের অধীনে থাকা বিরহী ১ ও ২, নগরউখড়া ১ ও ২, কাষ্ঠডাঙা ১ ও ২, ফতেপুর, মোল্লাবেলিয়া, ঝিকরা প্রভৃতি পঞ্চায়েত এলাকার অন্তত চার হাজার মানুষ ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করেছিলেন। ওই কাজের জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা তাঁরা পেয়েছেন রাজ্যের কাছ থেকে। এছাড়াও রাজ্য সরকার ৫০ দিনের কাজের প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন। এই কাজের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন উপভোক্তারা। কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হয়েছেন যাঁরা, দলমত নির্বিশেষে তাঁরা ভিড় করেছিলেন মমতার সভায়। পাশাপাশি, মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প পেয়ে সাধারণ মহিলারা খুশি। তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিতভাবেই এসেছিলেন এই সভায়। হরিণঘাটার পাশাপাশি কল্যাণী ও চাকদহ ব্লক থেকেও এমন বহু মানুষ এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। এই বিষয়ে হরিণঘাটা ব্লকের তৃণমূল নেতা চঞ্চল দেবনাথ বলেন, কেন্দ্রের বঞ্চনার জবাব দিতে মানুষ এদিন যেমন দলবদ্ধ হয়ে সভায় এসেছিলেন, তেমনই ঐক্যবদ্ধ হয়েই তৃণমূলকে ভোট দেবেন তাঁরা। রাজ্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকেই তাঁরা তৃণমূলের প্রতি আস্থা রেখেছেন।
এদিন মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতা দেওয়ার সময় কল্যাণীর প্রাক্তন বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস মঞ্চের পাশেই বসেছিলেন। তাঁকে দেখতে পেয়ে বক্তৃতা থামিয়ে মঞ্চে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। বয়সজনিত কারণে গত বিধানসভা ভোটে তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়া কয়েকজন নেতাকেও এদিনের সমাবেশে দেখতে পাওয়া যায়। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের দাবি, দলের সমস্ত সৈনিককে একত্রিত করে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।