আগামী কাল ভোটের ফল প্রকাশিত হবে। কিন্তু তার আগে হুগলিতে ব্যাপকভাবে চলছে ভোটের ফল নিয়ে বাজি ধরা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলে বাজি পাঁচ কেজি খাসির মাংস। আর লকেট চট্টোপাধ্যায় জিতলে বাজি ধরা হচ্ছে পঞ্চাশটি রসগোল্লা।
ভোটপর্ব মিটলেও উত্তেজনা কমছে না সন্দেশখালিতে। তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে ধরতে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মণ্ডলপাড়ায়।
এবার উত্তর ২৪ পরগনায় ভোট দিলেন দু’লক্ষেরও বেশি নতুন ভোটার। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই নয়া ভোটারদের লম্বা লাইনও চোখে পড়েছে দিনভর। এই ভোটারদের ভোট কোন চিহ্নে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সেটাই হয়ে উঠেছে এখন মূল চর্চার বিষয়।
‘দাদা’র পুলিস দিয়ে ভোট করা নিয়ে সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, তাদের উপর যে বিজেপি আস্থা রাখতে পারেনি, তার প্রমাণ মিলছে ক্রমশ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘ভূমিকা’-কে সন্দেহের চোখে দেখে এবার স্ট্রং রুম পাহারা দিচ্ছে বিজেপি কর্মীরা।
একেই বলে প্রেম। প্রেমের টানে নিজের দেশ ছেড়ে এদেশে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন কুমিল্লার বাসিন্দা বছর কুড়ির তরুণী। অনুপ্রবেশের মামলায় জড়িয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তাঁর ঠিকানা দমদম জেল। প্রেমিক ইয়াসিন খানের বাড়ি বসিরহাটে। ফেসবুকের মাধ্যমেই আলাপ।
পুকুর দখল করে নির্মাণ কাজের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীরা। রবিবার এলাকায় গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। এদিন ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
আগামী মঙ্গলবার ভোট গণনা। এই গণনা সুষ্ঠুভাবে করতে ইতিমধ্যেই কমিশন সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গণনা হবে বীরশিবপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।
কিছুদিন আগে বাগনানের একটি শোরুম থেকে ২৫টি দামি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছিল। তার তদন্তে নেমে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ছত্রিশগড় থেকে মূল অভিযুক্ত রাম প্যাটেল ওরফে দিনেশ প্যাটলকে গ্রেপ্তার করল।
হুগলি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণের পর পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় দু’সপ্তাহ। যুযুধান দুই শিবিরে এখনও অঙ্ক কষা চলছে। তবে গণনার ঠিক প্রাক্কালে বিজেপি এবং তৃণমূল দু’টি পৃথক বিধানসভার ফলের উপরেই ভরসা করছে।
সদ্য লোকসভা নির্বাচন পর্বে হুগলিকে কেন্দ্র করে পর্যটন করিডর তৈরির দাবি উঠেছিল। তারপর চুঁচুড়ার নাগরিকদের দীঘা ও শান্তিনিকেতন-তারাপীঠ সফরের জন্য সপ্তাহ শেষে বিলাসবহুল বাস চালানোর প্রস্তাব উঠল। চুঁচুড়া পুরসভার তরফে ওই প্রস্তাব সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
সৌম্যজিৎ সাহা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্পর্শকাতর এলাকা, কারা গোলমাল পাকাতে পারে তাঁদের চিহ্নিতকরণ, অশান্তি পাকানোর পুরনো অভিযোগ আছে এমন দাগিদের ধরপাকড় ও টানা নজরদারির কাজ চলছে সর্বত্র। এই কাজে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার ব্যক্তিকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। পুলিসের পরিভাষায় একে বলে ‘বাউন্ড ডাউন’। অর্থাৎ চিহ্নিত করা ব্যক্তিরা যদি কোনও অশান্তি করার চেষ্টা করেন তৎক্ষণাৎ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। সূত্রের খবর, যাঁদের বাউন্ড ডাউন করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে শাসকদলের বড় সংখ্যক নেতা-কর্মীও রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পূর্বে কখনও না কখনও গোলমাল করার অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতে মামলাও রুজু হয়েছিল। এদের প্রত্যেককেই ১০৭ ও ১১০ ধারায় শমন দেওয়া হয়েছে। পুলিসের একটি সূত্র বলছে, কমিশনের নির্দেশ রয়েছে যে, দাগি অপরাধী বা গোলমাল পাকাতে পারে এমন লোকজন ভোটারদের যাতে হুমকি দেওয়া ইত্যাদি কাজ যাতে না করে তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে এই কাজ করতে হবে বলে কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছিল। সেই নির্দেশ মতোই রাজনৈতিক রং না দেখেই যাঁদের বিরুদ্ধে পূর্ব নির্বাচনগুলিতে অশান্তি তৈরির অভিযোগ বা মামলা রয়েছে তাঁদের প্রত্যেককেই এভাবে শর্তসাপেক্ষে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। তিনটি পুলিস জেলা সূত্রে খবর, ক্যানিং মহকুমা, ডায়মন্ড হারবারের একটি অংশ, বারুইপুর, কুলতলি ইত্যাদি থানা এলাকায় এই ধরনের গোলমাল পাকানোর অভিযোগ থাকা লোকজনের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। জানা গিয়েছে, সোনারপুরের এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা যিনি এক সময় গ্রামীণ এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন তাঁর বিরুদ্ধেও ১০৭ ধারায় বন্ড কাটা হয়েছে। সোনারপুর গ্রামীণ এলাকার এক বিজেপি নেতাকেও এইভাবে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, ক্যানিং মহকুমায় গোলমাল পাকাতে পারে এমন প্রায় হাজার খানেক লোকজনকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে বলে খবর। এখানেও বেশিরভাগ শাসক দলের নেতা-কর্মী রয়েছেন। পুলিসের বক্তব্য, এই প্রক্রিয়া চলবে। দিনের শেষে কমিশনের কাছে বাউন্ড ডাউন নিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। তাতে কোনওভাবে এই বিষয়ে ছাড় দেওয়া যাবে না। তৃণমূলের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিরোধী পক্ষের এমন বহু লোকজন রয়েছে যাঁরা এলাকায় অশান্তি করে পুলিসের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। তাঁদের কাছেও বাউন্ড ডাউন করার চিঠি যাচ্ছে। যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাধারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁরাও রেহাই পাননি পুলিসের হাত থেকে। এমন অনেককেই আগাম শর্ত দিয়ে নজরদারি মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছে।
