কর্মস্থলে জটিল কর্মে সাফল্য ও সুনাম। অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় বাড়বে। ... বিশদ
সুভাষবাবু বলেন, তৃণমূল প্রার্থী সাংসদ তহবিলের অর্থ নিয়ে মানুষকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা কথা বলেছেন। ভোটারদের প্রভাবিত করারও চেষ্টা করেছেন। এটা অত্যন্ত অন্যায় কাজ। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে ক্রমাগত সাধারণ মানুষকে মিথ্যা কথা বলছেন, এটা বন্ধ হওয়া দরকার। তারসঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমার সম্মানহানিও করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইনেও এবিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এরকমভাবে নির্বাচনের সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় না। তাই এদিন বাঁকুড়া আদালতে মামলা দায়ের করেছি। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। তারসঙ্গে মানহানির জন্য ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েও একটি দেওয়ানি মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সুভাষবাবু জানিয়েছেন, তাঁর পক্ষে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে তিনজন ও বাঁকুড়া আদালতের তিনজন সওয়াল করছেন। এদিনই বাঁকুড়া জেলা আদালতে মামলা করা হয়েছে।
সুভাষবাবুর পক্ষের অন্যতম আইনজীবী কৃষ্ণেন্দু গুপ্ত বলেন, নির্বাচনের সময়ে প্রচারে মিথ্যা চার করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। এমপি ল্যাডের টাকা খরচ প্রশাসনিক পদ্ধতি মেনে হয়। এজন্য ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়ে থাকে। তারসঙ্গে অডিটও হয়। মিথ্যাচার করার জন্য সুনির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
সুভাষবাবুর আর এক আইনজীবী বিল্বেশ্বর সিংহ বলেন, নির্বাচনের সময় মিথ্যা রটানো ও সম্মানহানির জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। জন প্রতিনিধি আইন অনুযায়ী মামলা হয়েছে।
তবে পাল্টা মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। এদিন তিনি বলেন, সুভাষবাবু এমপি ল্যাডের অর্থে কোনও গঠনমূলক কাজ করেননি। তাঁর গাত্রদাহ হয়েছে বলে মানহানির মামলা করেছেন। সুভাষবাবুর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির মামলা হয়েছিল। তাতে তিনি অভিযুক্ত ছিলেন। আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে লাভ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে আমি ২৫টি মামলা করব।
রাজনৈতিক মহলের মতে, তীব্র দাবদাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে এনিতেই বাঁকুড়ার ভোট ময়দান উত্তপ্ত রয়েছে। এদিন বিজেপি প্রার্থীর মামলার পর তা যে আরও চরম আকার ধারণ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।