গৃহাদি নির্মাণে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণপ্রাপ্তির যোগ আছে। কাজকর্মের স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে। বাতের বৃদ্ধি। ... বিশদ
বেলডাঙা, রেজিনগরে ভোট মানেই শান্তিপ্রিয় ভোটাররা আতঙ্কের প্রহর গুনতে শুরু করেন। মাঝরাতে বোমা, গুলির আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায়। ভোট এলেই রক্তপাত, খুনোখুনি দেখেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন দুই থানা এলাকার মানুষ। কাপাসডাঙা, মির্জাপুর, বেগুনবাড়ি, দাদপুর, নাজিরপুরের মতো বেশ কয়েকটি গ্রাম ভোট এলেই আতঙ্কের ‘এপিসেন্টার’ হয়ে ওঠে। গ্রামগুলি কার্যত নির্বাচনে পুলিসের ঘুম কেড়ে নেয়। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত হোক বা বিধানসভা বা লোকসভা প্রতিটি ভোটেই রক্ত ঝরেছে বেলডাঙা, রেজিনগরে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির তালিকাও বেশ দীর্ঘ। দুই থানার বাসিন্দারা বোমা তৈরির কুটিরশিল্পের তকমা কাটাতে পারেননি। অনেকেরই দাবি, বারুদের স্তূপের উপর দুই থানা এলাকা দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবারও বেলডাঙা, রেজিনগরে অস্ত্রভাণ্ডার কম ছিল না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে পুলিস লাগাতার অভিযান চালিয়েছে। রেজিনগর থানার পুলিস ১৭০টি বোমা, পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে। বেলডাঙা থানার পুলিস প্রায় সাড়ে তিনশো তাজা বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে। এর বাইরে বহু জায়গায় মজুত রাখা বোমা প্রচণ্ড গরমে এমনিতেই ফেটেছে। পুলিসের তাড়া খেয়ে দুষ্কৃতীরা বহু বোমা পুকুর বা নদীতে ফেলে দিয়েছে। কার্যত দুষ্কৃতীদের ঘরে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিতে পেরেছিল পুলিস। বোমা মজুত করে কেউ স্বস্তিতে ছিল না। তাই শান্তিপ্রিয় মানুষ পুলিসের ভূমিকার তারিফ করছেন।
কাজিশাহর বাসিন্দা মকবুল হক বলেন, ভোট এলেই আমাদের আতঙ্ক বেড়ে যায়। শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম না। এবার অন্য বেলডাঙা দেখলাম। রক্তপাতহীন ভোট পুলিসের পরিশ্রমের ফসল। রেজিনগর থানার দাদপুর এলাকার বাসিন্দা ইন্তিয়াজ শেখ বলেন, এবার প্রথম ভোটের দিন কাউকে দাপাদাপি করতে দেখিনি। ঘনঘন বোমার আওয়াজও কানে আসেনি। হঠাৎ বদলে অবাকই হয়েছি। পুলিস সঠিক ভূমিকা পালন করায় সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রক্তপাতহীন নির্বাচনে শাসক থেকে বিরোধীরাও খুশি। এই বদল কী শুধু এবারের, নাকি বরাবরের? এই প্রশ্নটাই থেকে যাচ্ছে।