প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
স্থানীয়রা জানান, এর আগেও একই সমস্যা হয়েছিল। সেই সময়ে প্রশাসনকে জানানোর পর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কাঁকসা ব্লক প্রশাসন ও পুলিস আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন কয়েকদিন কটু গন্ধ বন্ধ থাকলেও ফের তা শুরু হয়েছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটপ্রক্রিয়া সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতারা এই দুর্গন্ধের বিষয় তুলে সরব হয়েছিলেন। কাঁকসার সুকান্ত মণ্ডল বলেন, দুর্গন্ধের জেরে বমি আসছে। মাথাব্যথা হচ্ছে। সবসময় নাকে রুমাল ঢাকা নিয়ে থাকতে হচ্ছে। এই দুর্গন্ধের হাত থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমানিডাঙ্গার এক গৃহবধূ বলেন, সবসময়ই গন্ধ উঠছে। থাকা যাচ্ছে না। বাড়ির জানলা বন্ধ করে রাখছি। ধোবারু এলাকার গৃহবধূ সঞ্চিতা দাস বলেন, দুর্গন্ধের জন্য শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। খাবার খেতে গেলেই বমি পাচ্ছে। যেভাবে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে আমাদের এখানে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়ছে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
এলাকার কংগ্রেস নেতা পূরব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা গণস্বাক্ষর করে বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। দুর্গন্ধের জেরে বিদ্যালয়ের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছিল। কয়েকদিন দুর্গন্ধ বন্ধ থাকলেও ফের শুরু হয়েছে। দুর্গন্ধ না বন্ধ হলে আমরা এবার শিল্পতালুকে বৃহত্তর আন্দোলনে বসবো। আমরা শিল্প বিরোধী নই। কিন্তু দূষণমুক্ত কারখানা চাই। বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সমস্যার দিকে নজর দিচ্ছে না। মানুষ ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়ছে। স্থানীয় প্রশাসনও নিরব রয়েছে।বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি নবকুমার সামন্ত বলেন, কারখানা তৈরি করে রাজ্য সরকার এলাকার উন্নতি ঘটাতে চাইছে। কারখানার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে সংস্থার ইউনিট প্রধান নবদীপ থাপড় দাবি করেন, আগেরবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বিডিও সহ সকলে পরিদর্শন করেছিলেন। সেইবার আধিকারিকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। দুর্গন্ধ এলে আমরাই থাকতে পারতাম না। কারখানায় আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির মেশিন লাগানো রয়েছে। কাঁকসা ব্লকের বিডিও পর্ণা দে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।