প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
জামবাদ কোলিয়ারির কর্মীরা জানান, রঞ্জিতবাবু খনির ট্রামার পদে নিযুক্ত ছিলেন। মঙ্গলবার রাতের শিফটে তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। খনির ডুলির স্প্রিং ছিটকে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। রঞ্জিতবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই সংজ্ঞা হারান। সহকর্মীরা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। সহকর্মীরা মৃতদেহ ফের কোলিয়ারিতে নিয়ে যান। কোলিয়ারিতে বিক্ষোভ শুরু হয়।
বহুলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বীর বাহাদুর সিং বলেন, ইসিএল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কর্মীরা। নিরাপত্তা নিয়ে ইসিএলের উদাসীনতার কারণে প্রাণ যাচ্ছে কর্মীদের। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্তের দাবি করা হয়েছে। ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার জিএম শান্তকুমার চৌধুরী বলেন, মৃতের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে ডিরেক্টর জেনারেল অব মাইনস সেফটির পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-নিজস্ব চিত্র