প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, গত আট বছর ধরে খড়্গপুর শহরকে নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করেছে বিজেপি। যার শুরুটা করে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে টানা ১০ বারের বিধায়ক জ্ঞান সিংহ সোহনপাল তথা কংগ্রেসের ‘চাচা’কে হারিয়ে খড়গপুরে ইতিহাস সৃষ্টি করেন দিলীপ। ২০১৯ সালেও খড়্গপুর থেকেই সর্বোচ্চ ৪৫হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। একুশের বিধানসভাতেও এই কেন্দ্র যায় বিজেপির দখলেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, খড়্গপুরে বিজেপির ভরসা ৮০ শতাংশ অবাঙালি ভোট। এই ভোটই বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়ে আসছে দীর্ঘবছর ধরে। তবে, এবারের নির্বাচনে খড়্গপুরের ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া তৃণমূল। গত নির্বাচনের ৪৫ হাজারের ব্যবধান যতটা কমানো যায়, তাতেই মঙ্গল তৃণমূলের।
অন্যদিকে, খড়্গপুর সদরেই পাল্টা গ্রামীণকেই বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। গত লোকসভায় তৃণমূল সব বিধানসভা কেন্দ্রে পিছিয়ে থাকলেও শুধুমাত্র খড়্গপুর গ্রামীণেই প্রায় সাড়ে ন’হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। এমনকি একুশের বিধানসভাতেও এই কেন্দ্রের মানুষ ফুত্কারে উড়িয়ে দিয়েছিল বিজেপিকে। মেদিনীপুর লোকসভার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার ভোটে জিতেছিলেন দীনেন রায়। তাই এবারের নির্বাচনেও খড়্গপুর গ্রামীণ থেকেই সর্বোচ্চ লিড পেতে চাইছে তৃণমূল। শহরে যদি তৃণমূল পিছিয়েও থাকে, গ্রামীণ যেন সেই ক্ষতে মলমের কাজ করে। তৃণমূলের জেলা সভাপতির অবশ্য দাবি, ‘খড়্গপুর সদরের কেন আমরা পিছিয়ে ছিলাম, সেই রোগ চিহ্নিত করা হয়েছে আগেই। সেই মতো দাওয়াই দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এবার সদরে আমরাই এগিয়ে থাকব।’