সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: মমতা, মোদি আসার আগে খড়্গপুরে তৃণমূলের পতাকা ও ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আগামী কাল শুক্রবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়্গপুর শহরে আসছেন। ওই দিন তাঁর ইন্দা কলেজ থেকে গোলবাজার পর্যন্ত রোড শো করার কথা। একদিন বাদে রবিবার শহরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলীয় প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে তাঁর সভা করার কথা। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, শহরের আর্য্য বিদ্যাপীঠ সংলগ্ন ময়দানে তাঁর সভা হবে। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটেও দিলীপ ঘোষের সমর্থনে খড়্গপুরে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেবার দিলীপবাবু জয়ী হন। খড়্গপুর শহর থেকেই প্রায় ৪৫ হাজার ভোটের লিড পান। দুই সর্বোচ্চ নেতৃত্বের রোড শো ও সভাকে কেন্দ্র করে দুই দলেই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
এদিকে তাদের দলের প্রার্থীর সমর্থনে লাগানো ফ্লেক্স ও জোড়াফুলের ছাপ দেওয়া দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। দলের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান তথা পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ বলেন, বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি আমাদের ফ্লেক্স ও পতাকা ছিঁড়ে দিচ্ছে। ফ্লেক্সগুলো ব্লেড দিয়ে কেটে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত আমার নিজের ওয়ার্ড ৭ সহ ৮, ১৪ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এই অভিযোগ এসেছে। এই ঘটনায় আমাদের কর্মীদের ভেতর ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে। আমরা তাদের কোনও রকম প্ররোচনায় পা দিতে বারণ করেছি। বিষয়টি আমরা পুলিসকে জানাচ্ছি। আসলে ওরা বুঝে গিয়েছে এবার আর এই শহরে বিজেপির জায়গা নেই। তাই এভাবে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করছে। কমিটির সদস্য তথা জেলা কমিটির সহ সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, রেল এলাকায় ফ্লেক্স ছেঁড়ার সময়ে একজনকে হাতেনাতে ধরাও হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। দলের খড়্গপুরের কো অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন কাউন্সিলার গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমাদের দলের কেউ এরকম কাজ করবে না। আসলে ওরা বুঝে গিয়েছে এবারও মেদিনীপুরে বিজেপি জিতবে। আর খড়্গপুর শহরে আমাদের লিড গতবারের চেয়ে বেড়ে ৫০ হাজারের বেশি হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পিঠ বাঁচাতে এই সব গল্প ফাঁদছে। এখন থেকে এসব বলে রাখছে। বিজেপির ঘাড়ে বন্দুক রেখে নিজেদের পদ বাঁচাবার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।