অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী গত মার্চ মাসে কালীপুর মাঠ থেকে চব্বিশের ভোটের প্রচার শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এবার পুরশুড়ার ব্লক অফিস সংলগ্ন মাঠে জনসভা করবেন। গত বুধবার শহরের কালীপুর মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করে গিয়েছেন। আরামবাগে অল্প সময়ের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমোর সফর ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। গেরুয়া শিবির প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে প্রচারে জোর বাড়িয়েছে। তৃণমূল আবার বিজেপির দলিত, তফসিলি জাতি-উপজাতি বিরোধিতাকে প্রচারের সামনে নিয়ে আসছে। লিফলেটে দেশের বিজেপি নেতাদের তফসিলি জাতি উপজাতিদের উপর অবমাননাকর বক্তব্য ও হেনস্তার ঘটনা তুলে ধরা হচ্ছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, ‘তিনটি বর্ণ যথাক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য এদের সেবা করা শূদ্রদের স্বাভাবিক কর্তব্য।’ তাঁর এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী বিতর্কের ঝড় তুলেছে। গুজরাতের গণদেবী এলাকার বিজেপি বিধায়ক নরেশ প্যাটেল বলেছেন, ‘আমি আদিবাসী ভোটের পরোয়া করি না।’ রাজ্যের এক বিজেপি নেতা মন্ত্রী বীরবাহা হঁসাদা ও আদিবাসী নেতা দেবনাথ হাঁসদা তাঁর জুতোর নীচে থাকে বলে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন। এছাড়াও বিজেপির নেতা-কর্মীদের হাতে পিছিয়ে থাকা বর্গের মানুষের উপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা লিফলেটে তুলে ধরা হচ্ছে। মণিপুরে আদিবাসী মহিলাদের নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানো, মধ্যপ্রদেশে বিজেপি কর্মী প্রবেশ শুক্লর আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাব, উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে তফসিলি জাতির মেয়েকে গণধর্ষণ, গুজরাতে তফসিলি জাতির এক যুবককে ঘোড়ায় চড়ার অপরাধে গালিগালাজ মতো ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এমনকী নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টিও তৃণমূল প্রচারে তুলে আনছে।
তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ বলেন, আমি নিজে বাগদি সম্প্রদায়ের মেয়ে। বিজেপি পিছিয়ে থাকা এই সম্প্রদায়ের উন্নয়নের নামে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। বিজেপি সরকারের আমলে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের উপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েছে। এখনও ৫০ শতাংশের বেশি এই সম্প্রদায়ের মানুষ আর্থিক অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করছেন। ১০০ দিনের কাজ করিয়ে টাকা না দিয়ে লক্ষাধিক নথিভুক্ত তফসিলি জাতি-উপজাতির শ্রমিককে বঞ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে আসার খবর শুনেই সাধারণ মানুষ কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে।
পুরশুড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি যশোবন্ত ঘোষ বলেন, বিজেপি বিধায়ক এই এলাকায় কতবার এসেছেন নিজে বলুন। বিধানসভা এলাকার মানুষের উন্নয়নে কী কাজ করেছেন তুলে ধরুন। প্রধানমন্ত্রীর সফরে ভোটের ফলাফলে হেরফের হবে না।
বিজেপি নেতা তরুণ সাহা বলেন, লোকসভায় অন্যান্য দলের চেয়ে বিজেপির তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সবচেয়ে বেশি। দেশের রাষ্ট্রপতি একজন তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের। ভোটের স্বার্থে তৃণমূল মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূলের মতো দুর্নীতিপরায়ণ দলের কথা মানুষ আর বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রীর সভায় রেকর্ড জমায়েত হবে।