কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
বোধড়ায় পঞ্চায়েত অফিসের কাছে চায়ের দোকানে বসে কথা হচ্ছিল অজিত মণ্ডল, সমরেন্দ্র মাইতিদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, বিজেপি পঞ্চায়েতে প্রায় এক বছর হল ক্ষমতায় এসেছে। অথচ সেভাবে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ আমরা দেখতে পাইনি। বরং তৃণমূল ক্ষমতায় থাকাকালীন বহু কাজ হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিগত বোর্ডের আমলে পঞ্চায়েত এলাকায় বোধড়া সহ সাতটি পানীয় জল প্রকল্পের কাজের সূচনা হয়েছে। শঙ্করপুর থেকে তাজপুর পর্যন্ত সমুদ্রবাঁধ কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। রামনগর থেকে নায়েকালী মন্দির পর্যন্ত রাস্তা সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তৈরি হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বার্ধক্যভাতা, বিধবাভাতা সহ সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পেয়েছেন বহু মানুষ। মৎস্যজীবীরা পেয়েছেন ‘সমুদ্রসাথী’ প্রকল্পের সুবিধা।
পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা খাটুয়া বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পরই পানীয় জলপ্রকল্পগুলির কাজ হচ্ছে। কয়েকটি রাস্তা তৈরি হয়েছে। নিকাশি সমস্যা সমাধানে খালগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আরও নানা উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের অপশাসন আর দুর্নীতিতে মানুষ তিতিবিরক্ত। উন্নয়নের লেশমাত্র নেই। মানুষের বিজেপির প্রতি আস্থা বহুগুণ বেড়েছে। বিজেপিই এবার তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েতে লিড দেবে। প্রাক্তন প্রধান তথা ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ জানা বলেন, রাস্তা, নিকাশি, পানীয় জলের ব্যবস্থা, সবই বিগত তৃণমূল বোর্ডের পরিকল্পনায় হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে উন্নয়ন স্তব্ধ। আমরা যে সমস্ত কাজ করে গিয়েছিলাম, সেগুলি তাদের আমলে রূপায়ণ হয়েছে বলে প্রচার করছে বিজেপি। বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে ভুল হয়েছে, তা এলাকার বাসিন্দারাই বলছেন। যেটুকু কাজ হচ্ছে, দলের উদ্যোগেই জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হচ্ছে। এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখে আমরা প্রচার শুরু করেছি। আগামী দিনে তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েতকে বিজেপির প্রভাবমুক্ত করা এবং তৃণমূলের হারানো ময়দান ফেরানোই লক্ষ্য।