গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বাঁকুড়ার মিশন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী অরুণিমা চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম স্থান দখল করেছে। সে জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বাঁকুড়ার কাটজুড়িডাঙা এলাকার মিলনপল্লিতে বাড়ি অরুণিমার। তার বাবা অংশুমালি চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। মা রুমা চট্টোপাধ্যায় হাইস্কুলের শিক্ষিকা।
অরুণিমা জানিয়েছে, তার আটটি বিষয়েই টিউশনি ছিল। বাড়িতে পড়াশোনায় মা-বাবাও সাহায্য করতেন। সে বাংলায় ৯৮, ইংরেজি ৯৫, গণিত ৯৯, ভৌত বিজ্ঞান ১০০ জীবন বিজ্ঞান ৯৯, ইতিহাসে ৯৪ ও ভূগোলে ১০০ পেয়েছে। অরুণিমার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। তার প্রিয় বিষয় গণিত। সে পড়াশোনার ফাঁকে গোয়েন্দা গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। তারসঙ্গে থ্রিলার সিনেমাও তার পছন্দের। অরুণিমা বলে, মেধা তালিকায় আসব ভাবিনি। তবে ভালো ফলের আশা ছিল। টিভিতে আমার নাম বলেছে বলে খুব ভালো লাগছে। পড়াশোনায় নির্দিষ্ট কোনও রুটিন ছিল না। স্কুলের শিক্ষিকা, গৃহশিক্ষকরা ও বাবা-মা পড়াশোনায় খুব সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চাই।
বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌভিক দত্ত ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছে। তার বাড়ি বাঁকুড়ার রামপুরে। সৌভিকের বাবা সঞ্জীব দত্ত সেচদপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। মা সুচিত্রা দত্ত গৃহবধূ। সৌভিকের প্রত্যেক বিষয়েই টিউশনি ছিল। সেও বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সৌভিক বলে, পড়াশোনার ফাঁকে ক্রিকেট দেখতে ভালোলাগে। তাই সময় পেলেই টিভিতে খেলা দেখি। গান শুনতেও ভালো লাগে।
রাইপুরের গড় রাইপুর হাইস্কুলের সৌম্যদীপ মণ্ডলও ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম হয়েছে। তার বাবা লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল হাইস্কুলের গণিতের শিক্ষক। মা মহুয়াদেবী গৃহবধূ। সৌম্যদীপের প্ৰিয় বিষয় গণিত। তার বাবার কাছেই পড়েছে গণিত। বাকি বিষয়গুলিতে টিউশনি ছিল সৌম্যদীপের। সে বলে, মাধ্যমিকে ভালো ফল হবে বলে আশা করেছিলাম। তাই হয়েছে। খুবই ভালো লাগছে। স্কুলের শিক্ষকরা পড়াশোনায় খুব সহযোগিতা করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট দেখতে ও খেলতে ভালো লাগে।
তালডাংরার ফুলমতি হাইস্কুলের ছাত্র সৌমিক খাঁও ৬৮৪ নম্বর পেয়ে এবার দশম স্থান অধিকার করেছে। তার বাবা কিরণ খাঁ ফার্মাসিস্ট। মা রুম্পা খাঁ পেশায় নার্স। সৌমিকের প্ৰিয় বিষয় ভৌতবিজ্ঞান। তার তিনটি বিষয়ে টিউশনি ছিল। বাকি বিষয়গুলি সে নিজেই বাড়িতে পড়েছে। বাবা, মা পড়াশোনায় সাহায্য করেছে। সৌমিক বলে, ২০১৯ সালে দাদু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাই মেডিক্যাল পড়ে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা করতে চাই। তাছাড়া পরিবারের অধিকাংশই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তাই ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখি।