আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
মালদহ টাউন থেকে রামপুরহাট বা বর্ধমানের দিকে যাওয়ার জন্য কোনও লোকাল বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন নেই। করোনার আগে একটি ট্রেন চলাচল করলেও পরে তুলে নেওয়া হয়। অবিলম্বে ওই সমস্ত রুটে বেশি করে লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে সরব হয়েছেন মালদহবাসী।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের আগে মালদহ ডিভিশনের আওতায় ১০৩টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করত। করোনা পরিস্থিতির জেরে সব ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। লকডাউন উঠলেও রেলের তরফে লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। পরে যাত্রীদের চাপে কিছু ট্রেন ফের চালু করা হয়। তবে এখনও সব ট্রেন চলাচল শুরু না হওয়ায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ।
ইংলিশবাজারের বাসিন্দা সৌমেন পাল, রুমকি চট্টোপাধ্যায় বলেন, মালদহ কার্যত ‘রেল হাব’ হিসেবে গণ্য হয়। অথচ মালদহ টাউন স্টেশনকে কেন্দ্র করে লোকাল ট্রেনের রুট বা সার্কিট সেভাবে চালু হয়নি। লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। ইএমইউ লোকাল চলে না বললেই হয়। অথচ হাওড়া, শিয়ালদহের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বহু ছোটখাটো স্টেশন থেকেও এ ধরনের কোচ রেলের তরফে চালানো হয়।
যাত্রীদের বক্তব্য, বাসের ভাড়া দিনদিন বেড়ে চলেছে। লোকাল ট্রেনে কম খরচে যাতায়াত করা যায়। চিকিৎসা সহ অন্যান্য কাজে আশপাশের এলাকা থেকে অনেকে মালদহ হয়ে যাতায়াত করেন। তাঁদের জন্য লোকাল ট্রেন পরিষেবা খুব কাজে আসবে। নিত্যযাত্রীদেরও অনেক সুবিধা হবে।
মালদহ ডিভিশনের সহকারি জনসংযোগ আধিকারিক রূপা মণ্ডল বলেন, নতুন ট্রেনের ব্যাপারে কোনও দাবিপত্র পেলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিই। যাত্রীর চাপের দিকটি বিবেচনা করে রেলবোর্ড নতুন ট্রেন চালানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
মালদহের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মালদহ টাউন স্টেশনকে নতুনভাবে গড়ে তুলছে। গত দশ বছরে অনেক নতুন ট্রেন চালু হয়েছে। লোকাল ট্রেনের বিষয়টি নিয়ে রেলমন্ত্রকে আবেদন জানাব। প্রতীকী চিত্র