কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরের দাবি, তাদের সমস্ত কর্মী সমর্থকরা ভোট দিয়েছেন। বাকিদের কথা তারা জানে না। যদিও বিজেপির দাবি, তাদের কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানো হয়েছিল। মানুষ যেখানে ভয় অতিক্রম করে ভোট দিতে পেরেছে, সেখানে বিরোধীদের জয় নিশ্চিত। বামেদেরও দাবি, শাসকের চোরা সন্ত্রাসে ভোট বিমুখ হয়েছে সাধারণ মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ ভোট দিতে বাড়ি ফেরেননি।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, আমাদের কর্মী সমর্থকরা সকলেই ভোট দিয়েছেন। বাকিদের কথা জানি না। তাই ভোট শতাংশ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। দিনহাটা মহকুমায় বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।
বিজেপির দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতি দুলাল বসু বলেন, ভোটের দিন বিরোধী দলের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখিয়ে আসা হয়েছে। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে শহরের ব্যবসায়ী ও হিন্দি ভাষাভাষীর অনেকেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাননি। সিপিএমের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেন, দিনহাটা মহকুমা থেকেই বিজেপি ও তৃণমূলের প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থীদের জেতাতে বিপুল পরিমাণে ভোট হওয়ার কথা। অথচ এখানেই ভোটদানের শতাংশ খুবই কম। শাসকদলের চাপা সন্ত্রাস আর পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি না ফেরার কারণে ভোট কমেছে।
দিনহাটা মহকুমায় ৬০০টির বেশি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ বুথে বিরোধীদের এজেন্ট ছিল না। দিনহাটা শহরের তিনটি বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি বিজেপি। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও এলাকায় ভোটের দিনে তেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী নজরে পড়েনি। বিরোধীদের ভোট দিতে বারণ করার অভিযোগ উঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই মহকুমাতে বিরোধীদের সাংগঠনিক দূরবস্থা বেবারু হয় ভোটের দিন। নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের অনেককেই বুথমুখী করতে পারেনি। তৃণমূল নিজেদের লোকদের ভোট করিয়ে ফুরফুরে রয়েছে দিনহাটা মহকুমার দুই বিধানসভা দিনহাটা ও সিতাইতে।