কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
৮ বছর আগে মানিকচকের ওই মহিলার সঙ্গে মথুরাপুর কর্মুটোলার এক যুবকের বিয়ে হয়। কিন্তু দাম্পত্যের আট বছর পরেও সন্তান হয়নি ওই গৃহবধূর। এজন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে হত বধূকে। প্রতিদিন অত্যাচার সহ্য করেও শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন তিনি। কয়েকমাস আগে তাঁকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন তাঁর স্বামী।
প্রতিবেশীদের সহায়তায় বাপের বাড়ি ফিরে আসেন ওই গৃহবধূ। আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি। বিচ্ছেদও হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মতো মাসিক খরচ না দিয়ে তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এতে অনেকদিন ধরে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
শুক্রবার সকালে বাপের বাড়ির পিছনে আমবাগানে ওই বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
মৃতার বাবা বলেন, আমার মেয়ের সন্তান না হওয়ায় মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় জামাই। এরই মধ্যে জামাই আরেকটি বিয়ে করে। এই সমস্ত কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল মেয়ে। আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য আমার জামাই দায়ী। ফোন না তোলায় অভিযুক্তর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে মানিকচক থানার এক আধিকারিক বলেছেন, গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।