প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
জানা যাচ্ছে যে, বিজেপির প্রায় ৩০ হাজার নেতাকর্মী ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার স্লিপ বিলি করবেন। একইসঙ্গে চলবে প্রচার সংযোগ কর্মসূচিও। তবে প্রচারে যেটাই বলা হোক না কেন, দেশের রাজধানী শহরের আমজনতা আদৌ কতটা বিশ্বাস করছেন গেরুয়া ব্রিগেডকে? নির্বাচনের মুখে এই প্রশ্নও ভাবিয়ে তুলেছে দলীয় নেতৃত্বের একাংশকে। আর সেই প্রশ্নের জবাব পেতেই দিল্লির বিভিন্ন মহল্লা এবং কলোনিগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় সভা-সমাবেশের আয়োজন করছে বিজেপি। দলের শতাধিক নেতাকে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে অবশ্য নির্বাচনী প্রচার কৌশল নিয়ে মুখ না খুললেও কোনওরকম চাপ থাকার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বরং তাদের দাবি, রাজধানীর সবক’টি লোকসভা আসনেই দল যথেষ্ট ভালো ফল করবে। কিন্তু যেভাবে ঘরে ঘরে জনসংযোগ কর্মসূচিতে শীর্ষস্তরের নেতাদেরও সক্রিয় অংশগ্রহণের বন্দোবস্ত করছে বিজেপি, তাকে যথেষ্টই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মানছে ওয়াকিবহাল মহল।
গেরুয়া শিবির সূত্রের দাবি, শেষবেলায় প্রচার নিয়ে কয়েক দফায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন, ‘ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন’। এরপর দিল্লির লোকসভা কেন্দ্রগুলির প্রত্যেক এলাকায় স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ছোট ছোট সমাবেশ কিংবা সভার উপর জোর দিতে চাইছে বিজেপি। এরই পাশাপাশি তারকা খচিত রোড শো এবং শীর্ষ নেতৃত্বকে দিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশের উপরও নজর দিচ্ছে দিল্লি বিজেপি। দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে প্রচারের জন্য ৪০ জন তারকা-প্রচারকের নাম ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে বিজেপি। মোদি-শাহ-নাড্ডার পাশাপাশি তাতে নাম রয়েছে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। রয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। দিল্লির রামলীলা ময়দানে জনসভা করতে পারেন মোদি।