প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কথিত আছে এখানেই জন্মেছিলেন সীতা। তাঁর নাম থেকেই এই জনপদের নাম সীতামারী। এখানে রয়েছে জানকীর মন্দিরও। ইতিহাস বলছে, ১৯৫৭ সালে তৈরি হওয়া সীতামারী লোকসভা কেন্দ্রটি মুজফ্ফরপুর পূর্ব নামে পরিচিত ছিল। এই কেন্দ্রে প্রথমবার জয়লাভ করেন প্রজা সোশ্যালিস্ট পার্টির জে বি কৃপালিনী। তারপর থেকে বরাবর কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত হয় সীতামারী। জরুরি অবস্থা জারির আগে এই আসনে তিনবার জয়লাভ করে হাত শিবির। ক্রমশ এই আসনে রাশ আলগা হয়েছে তাদের। বর্তমানে এনডিএ শিবিরের ‘দুর্গ’-এ পরিণত হয়েছে সীতামারী। তিনবার এই আসনে জয় পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা। চতুর্থবার সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখতেই কোমর বেঁধে নেমেছে এনডিএ শরিক জেডিইউ। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার এনডিএ শরিক হিসেবে এই আসন জেতে জেডিইউ। মাঝে ২০০৪ সালে একবার তাল কাটলেও আর এনডিএর বিজয়রথ থামানো যায়নি। ২০১৪ সালে এই আসনে এনডিএ শরিক রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টির (আরএলএসপি) প্রার্থী রামকুমার শর্মা জয়লাভ করেন। গত কয়েক বছরের প্রবণতা বলছে, এখানকার ভোটাররা যাঁকে পছন্দ করেন ঢেলে ভোট দেন। তাই ভোটের মার্জিন বেশিই থাকে।
গত লোকসভা ভোটে জেডিইউ প্রার্থী সুনীলকুমার পিন্টু ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৩৯ ভোটে হারান আরজেডি প্রার্থী অর্জুন রাইকে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখতে মরিয়া জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। গত সোমবারই সীতামারীতে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করেছেন নীতীশ। তাঁর কাঁটা বিগত সাংসদই। এবার টিকিট না পেয়ে বেশ ক্ষুব্ধ পিন্টু। এদিকে, জনক রাজার রাজ্য জয়ে আদাজল খেয়ে নেমেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও।