প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিন সকালে চিংলিগোড়ায় পরিবারের সকলকে নিয়ে ভোট দিতে যান ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। সাধারণ ভোটারদের মতো লাইনে দাঁড়িয়েই ভোট দিতে দেখা যায় তাঁকে। এদিনের ভোটে ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার মতো হেভিওয়েট নেতার। খুঁটি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভোট দেন সকাল সকাল। খারসাওয়ার এলাকার খেলারিসাইতে ভোট দেন অর্জুন মুন্ডা।
এদিন সকাল থেকেই মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে। এমনকি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাতেও ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে অধিকাংশ বুথের বাইরে। সিংভূমের ছোটানাগরা এলাকায় সকালেই গাছ ফেলে পথ আটকায় মাওবাদীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। গাছ সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় এলাকায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ।
এদিন ভোট চলাকালীনই এফআইআর হয় কংগ্রেস বিধায়িকা শিল্পী নেহা তির্কির বিরুদ্ধে। মানডর এলাকায় ভোটের আগের দিন, অর্থাৎ ১২ মে, একটু বুথের বাইরে প্রচার চালানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয় কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও, পালামৌয়ে আরজেডি ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার খবর এসেছে। এদিন দুপুরে হুসেনাবাদ বিধানসভায় মহম্মদগঞ্জে দুপক্ষের মধ্যে মারপিটের খবর আসে। ভোট দিতে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত বলেই পুলিস সূত্রে খবর। অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। আবার, পালামৌয়ের আঁটাড়ির কিছু এলাকায় ভোট বয়কট করেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা মেরামতির দাবি না মেটায় ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন এই এলাকার ভোটাররা।
অন্যদিকে, এদিন পশ্চিমবঙ্গের ভোট ছিল আট লোকসভা কেন্দ্রে। যার মধ্যে বীরভূম ও বর্ধমানের একাধিক এলাকা বরাবর ঝাড়খণ্ডের সীমানা। ফলে দু’তরফে সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
এদিনের নির্বাচনের হার দেখে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্যের দাবি, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা প্রমাণ করে দিয়েছে যে বিজেপি এবার এর ফিরছে না। যদিও একথা মানতে নারাজ অর্জুন মুন্ডা। খুঁটি ছাড়াও বাকি তিনটিতে তাঁর দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত বলেই দাবি করেছেন তিনি।