প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
প্রতিটি বুথে এজেন্ট বসানো নিয়ে বহুদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। যাঁরা এজেন্ট হবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব বুথে এখনও এজেন্ট মেলেনি বলেই বিজেপির অন্দরমহলের খবর। যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নেতারা। তাঁরা বলছেন, অনেক জায়গাতে এজেন্ট নাও দেওয়া হতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপির চারটি সাংগঠনিক জেলায় বেশ কিছু এলাকাকে চিহ্নিত করেছেন দলের নেতারা, যেখানে এজেন্ট দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যেমন মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলায় কুলপি এবং মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার বেশ কিছু অঞ্চলে এজেন্ট পাচ্ছে না বিজেপি। এক নেতা বলেন, ওই সব এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। ফলে প্রায় ৬০-৮০টি বুথে এজেন্ট দেওয়া মুশকিলের।
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুর, ফলতা, মেটিয়াবুরুজ ও বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের বহু বুথে এজেন্ট পাওয়া যাবে না বলে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির নেতারা। তাঁরা একারণে তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসকে দায়ী করেছেন। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিম, কুলতলি এবং বাসন্তীতে বেশ কিছু বুথে এজেন্ট বসানো যাবে না বলে ধরেই নিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। একই সমস্যা যাদবপুর কেন্দ্রের ভাঙড় বিধানসভাতেও।
বিজেপি সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেও, বাস্তবে সর্বত্র যে তাদের সংগঠন নেই, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। তাছাড়া একুশের ভোটের পর গেরুয়া শিবিরের অনেক নেতা-কর্মীই হতাশার কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। জেলার সব বুথে বিজেপি এজেন্ট পাচ্ছে না শুনে প্রতিপক্ষকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, বিজেপির সংগঠন দুর্বল। তাই এজেন্ট পাচ্ছে না তারা। তাই এখন শাসকদলের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেদের খামতি ঢাকতে চাইছে বিজেপি।