প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিকে, ২০ মে’র আশপাশে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে শুক্রবার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া অধিকর্তা জানান, নিম্নচাপটি শেষ পর্যন্ত হবে কি না বা হলেও তার গতিপ্রকৃতি কী হবে, সেটা আগামী দিনে আরও পরিষ্কার হবে। পূর্বাভাস জারি করা হবে সেইমতোই।
এপ্রিল-মে মাসে বঙ্গোপসাগরে কোনও নিম্নচাপ তৈরি হলে সেটি শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত প্রতিবছরই এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে কোনও-না-কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলির মধ্যে এবারই অনেক দেরিতে, মে মাসে কোনও সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এইসময়ে বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সেটির সাধারণত অন্ধ্র-ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে যায়। গতবছরের মে মাসে তৈরি অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মায়ানমার উপকূলে আছড়ে পড়ে। তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল।
দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ জুড়ে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি গত কয়েকদিন ধরে আছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর জোড়া নিম্নচাপ অক্ষরেখা শুক্রবার অবস্থান করেছে। দুটি নিম্নচাপই বিস্তৃত আছে পৃথক দুটি ঘূর্ণাবর্ত থেকে। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর-পশ্চিম রাজস্থানের উপর। অন্যটি রয়েছে উত্তর বিহার ও সংলগ্ন এলাকার উপর। এর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে উচ্চচাপ বলয় থাকার ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প সেখান থেকে বায়ুমণ্ডলে ঢুকছে। এর ফলে সারাদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় বজ্রমেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবারও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি হয়নি।
আবহাওয়া অধিকর্তা এদিন সন্ধ্যায় জানান, ছত্তিশগড়ের দিকে শক্তিশালী বজ্রমেঘ তৈরি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে আরও একদফায় বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার কোনও কোনও এলাকায় ৫০-৬০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এই জেলাগুলিতে ‘কমলা’ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিনের মধ্যে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় একশো মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের জেরে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন। শুক্রবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৩০.৪ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৩ ডিগ্রি কম ছিল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (২১.৯ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৯ ডিগ্রি কম ছিল।