উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
নির্বাচনী প্রচার পর্বে গত ১৯ এপ্রিল দলীয় প্রার্থী অপূর্ব সরকারের (ডেভিড) সমর্থনে বহরমপুর স্টেডিয়ামে একটি সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রের পরবর্তী সরকারের নিয়ন্ত্রক হিসেবে তৃণমূল কীভাবে বড়সড় ভূমিকা নেবে, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি। মমতা সেখানে বলেন, ‘৪২’এ ৪২টা আসন দিন। দিল্লি কীভাবে কাঁপাতে হয়, দেখিয়ে দেব। কীভাবে দখল হবে দিল্লি, সেটাও জানা আছে।’ তৃণমূল সুপ্রিমোর ওই বক্তব্যকে নিয়ে পরের দিন অর্থাৎ ২০ এপ্রিল বর্তমানের প্রতিটি সংস্করণের প্রথম পাতায় খবর প্রকাশিত হয়। যে খবরের শিরোনাম ছিল—৪২টা আসন দিন, দিল্লি কীভাবে কাঁপাতে হয় দেখিয়ে দেব: মমতা।
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় নেট দুষ্কৃতীরা শিরোনামটি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে দেয়। ‘ভক্ত’দের সৌজন্যে তা ‘ভাইরাল’ও হয়ে যায়। শিরোনাম বিকৃত করে লেখা হয়—৪২টা আসন দিন, হিন্দুদের কীভাবে কাঁদাতে হয় দেখিয়ে দেব: মমতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই শিরোনাম দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, কীভাবে তা বিকৃত করা হয়েছে। নেটিজেনদের মধ্যে শিরোনাম বিকৃত করার বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রোজই অসংখ্য ফোন আসছে বর্তমান দপ্তরে। খবরের বিষয়বস্তু নিয়ে জানতে চাইছেন অনেকেই। এরকম একটা জটিল আবর্তে বর্তমান মনে করছে, এই খবর তার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যকেই আঘাত করেছে। শুধু তাই নয়, শিরোনাম বিকৃতির এই বিষয়টি একটি ষড়যন্ত্র এবং রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার নোংরা প্রয়াস। অভিযোগ দায়ের করার সঙ্গেই নির্বাচন কমিশন এবং সাইবার ক্রাইম সেলের হস্তক্ষেপও দাবি করা হয়েছে বর্তমানের তরফে।
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নজরদারি করার জন্য যে সেল গঠন করা হয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই বিষয়ে প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হচ্ছে। লালবাজারের সাইবার ক্রাইম সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ জমা পড়ার পরই সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে শিরোনাম বিকৃতির বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।