গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
হাসি আর রচনা প্রায় সমর্থক। এদিনও দিনভর তাঁকে দেখা গেল হাসিমুখেই। কখনও কখনও হাসালেনও। রঙিন শাড়িতে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছিলেন রচনা। প্রথমেই তাঁর গন্তব্য ছিল বলাগড়। প্রচারের মধ্যে অনেকেই কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে তেমন দক্ষ নন রচনা।’ কিন্তু প্রথম দফাতেই বলাগড়কে নির্বাচন করার কারণে অনেকেই এদিন রচনার প্রশংসা করেছেন। গুরুগম্ভীর কথা তিনি কখনওই বলেন না। কিন্তু সাবলীলভাবে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তাই বৈঁচির একটি বুথে গিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে পারেন, ‘এত অন্ধকার কেন? মানুষ ভোট কেমন করে দেবেন?’ দুপুর তখন ১২টা। তার আগেই ঘুরে এসেছেন সপ্তগ্রাম ও পাণ্ডুয়া। ভোটার কিংবা দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোটের দিন তাঁকে যে রকম নিশ্চিন্ত মনে ঘুরতে দেখা গিয়েছে, তা ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়েছে। বৈঁচি থেকে ধনেখালি যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তা নিয়েও মস্করা করতে ছাড়েননি তৃণমূলের প্রার্থী। তাঁর উজ্জ্বল পোশাকের মতো তাঁকেও দেখিয়েছে উজ্জ্বল। কখনও মিষ্টি খেতে চেয়েছেন, কখনও খাইয়েছেন। ভোট কাটিয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে।
লকেট অবশ্য দিনভর ছিলেন বেত হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো দিদিমণির মতো। সকাল সাড়ে ছ’টাতেই বেরিয়ে পড়েছিলেন নেত্রী। তাঁর ধনেখালি ‘উদ্বেগ’ নিয়ে প্রচার পর্বে বারবার বলেছেন। প্রায় ১২ ঘণ্টা ভোট ময়দানে ছিলেন নেত্রী। তারমধ্যে ৯ ঘণ্টাই ছিলেন ধনেখালিতে। অক্লান্ত ঘুরেছেন। মাঝেমাঝেই ফোন তুলে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকার খবর নিয়েছেন। আর গাড়িতে বসলেই ক্রমাগত আঙুল চলেছে মোবাইলে। মেসেজ করে গিয়েছেন নিরন্তর। সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা নাগাদ অফিসে ঢোকার আগে তাঁকে বিশেষ হাসতে দেখা যায়নি। ভোট নিয়ে মাতোয়ারা নেত্রী এদিন দুপুরের খাবারও বিশেষ কিছু খাননি। রাতে অফিসে ঢুকে প্রথমেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা বলেন। তারপরে ফের ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজনৈতিক কাজে।
দুই মহিলা নেত্রীর মতো প্রচারের আলো কখনওই তিনি পাননি। সোমবারও মনোদীপ ঘোষ নিজের রুটিন মেনে কাজ করেছেন। কখনও ওয়ার রুম সামলেছেন, কখনও বেরিয়েছেন ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে। আর সকাল সকাল নিজের ভোটটি দিয়েছেন।