আজ, শনিবার শেষ দফার নির্বাচন। ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ইভিএম পৌঁছে যাবে স্ট্রং রুমে। আগামী ৪ জুন সেখানেই হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ।
আজ, শনিবার বারাসত ও বসিরহাট লোকসভার মোট ২৭ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে জুটল দিল্লি যাওয়ার টিকিট, তা অবশ্য জানা যাবে ৪ জুন। যুযুধান তৃণমূল, বিজেপি ও বামেরা প্রত্যেকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
এবার পুরুষদের পাশাপাশি বড় সংখ্যক বুথ সামলানোর দায়িত্বে রয়েছেন মহিলারাও। তার জন্য বিভিন্ন সরকারি অফিস ও দপ্তর থেকে মহিলাদের এনে ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একটি বড় অংশ প্রথমবার ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন।
সন্দেশখালিতে ভোটের দিন গোলমাল পাকাতে বিজেপি ভিন রাজ্য থেকে ‘লোক’ নিয়ে এসেছে। দিনভর এই চর্চায় সরগরম ছিল দ্বীপাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। বহিরাগতদের দিয়ে ভোট লুট করাতেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করছেন সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ।
‘দু-দু’টো মেশিন বয়ে নিয়ে যাওয়া কি চাট্টিখানি কথা?’ লোকসভা ভোটের আগে ডিসিআরসি কাউন্টার থেকে ইভিএম নেওয়ার সময় এই প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল ভোটকর্মীদের মুখে। যাদবপুর ও কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের সব বুথের ভোটকক্ষে থাকবে দু’টি করে ইভিএম।
ত্রিপাক্ষিক লড়াইয়ে নির্ণায়ক মহিলা ভোটাররা। দমদম লোকসভা ও বরানগর বিধানসভার উপ নির্বাচনে মোট ২২জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন প্রায় ১৭লক্ষ ভোটার। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কমিশনের তরফে সমস্ত রকম পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
আজ, শেষ দফার নির্বাচন। বসিরহাট থেকে জয়নগর। উত্তর ২৪ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। দুই জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে জল সীমান্তের পাশেই রয়েছে অনেক বুথ। তাই শেষ দফার ভোটে অনুপ্রবেশ রুখতে এবং অশান্তি এড়াতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনার ন’টি কেন্দ্রে। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব এবং গত দু’দিনের বৃষ্টিতে দুই ২৪ পরগনার বেশ কিছু ভোটকেন্দ্র এখনও কার্যত জলের তলায় রয়েছে।
সপ্তম তথা শেষ দফায় আজ, শনিবার ভোটগ্রহণ হতে চলেছে রাজ্যের অন্যতম ‘হাই প্রোফাইল’ আসন ডায়মন্ডহারবারে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই প্রতিটি বুথে দেখা গেল নিরাপত্তার কড়াকড়ি। রাজ্য পুলিসের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও সংবাদদাতা, বনগাঁ: আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। শনিবার সেখানে প্রচারের শেষদিন। তাই শুক্রবার ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। এদিন প্রচারে একে অপরকে টেক্কা দিতে মরিয়া চেষ্টা করে। শুক্রবার সকালে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বাগদায় প্রচার করেন প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বাগদা বিধানসভার রণঘাট পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকশো কর্মীকে নিয়ে প্রচার করেন তিনি। কখনও হুড খোলা জিপে করে মানুষের আশীর্বাদ নেন। কখনও চড়া রোদ উপেক্ষা করে নিজে বাইক চালিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। এদিন হুড খোলা জিপে করে প্রচার করার সময় রাস্তার পাশে মাঠে বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে যান তিনি। ব্যাট হাতে মাঠে নেমে ছক্কা হাঁকান তিনি। ক্রিকেটের ময়দানে ছক্কা হাঁকালেও রাজনীতির ময়দানে কি ছক্কা হাঁকাতে পারবেন? এই প্রশ্নে তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, গত পাঁচ বছরে বিজেপি সাংসদকে এলাকার মানুষ দেখতে পাননি। এলাকার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেননি তিনি। আগামীতে মানুষ জবাব দেবেন। অন্যদিকে, প্রচারের শেষ লগ্নে বনগাঁয় এক বড়সড় মিছিল করল বিজেপি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের নেতৃত্বে বনগাঁ ১ নম্বর রেলগেট থেকে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিলে অংশ নেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। দুই শতাধিক ঢাকি মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বহু বাদ্যযন্ত্র সহকারে বহু মানুষ ভিড় করেন মিছিলে। বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডলও হাতে ঘণ্টা নিয়ে মিছিলে হাঁটেন। তিনি বলেন, এই ঘণ্টা তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা। শুক্রবার বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের সমর্থনে হাবড়াতে রোড শো করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। হুড খোলা গাড়িতে করে বিভিন্ন এলাকায় প্রচার সারেন প্রার্থী। নিশীথ বলেন, স্বপন মজুমদার বারাসত লোকসভা থেকে জয়ী হয়ে দিল্লিতে যাবেন এটা নিশ্চিত।
