প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ঘটনার পর মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিসের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ। আসেন বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল। পরে জনপ্রতিনিধি ও পুলিস এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের একটি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। রাস্তার পাশে সৌন্দর্যায়নের জন্য পুরসভার তৈরি নানা নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়। এই মোড়ে আইল্যান্ডে একুশের শহিদদের স্মৃতিতে একটি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেটিও ভেঙে ফেলার দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এখানে রাস্তা সংকীর্ণ। তার উপর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রশাসন যেসব জিনিস বানিয়েছে, তাতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে। মৃতার ছেলে ভগীরথ দাস ও এলাকাবাসীরা বলেন, এখানে রোজ পুলিস আর প্রশাসনের কর্তারা গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পরিবহণ দপ্তরের নিয়োগ করা কর্মীরা নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের সামনে থেকে রোজ লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেন।
গত বছর অক্টোবর মাসে একই জায়গায় লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মা ও তাঁর পাঁচ বছরের পুত্রের মৃত্যু হয়। এস্থানীয় বাসিন্দা নাড়ুগোপাল রায় বলেন, একজনের মৃত্যু হয়েছে, রাস্তার একপাশে পড়ে আছেন। অন্যপাশে গাড়ি থেকে টাকা আদায় করছিল পুলিস। এরা অমানবিক। একই অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল। বনগাঁর চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, এটা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। আমরা এই রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তার পাশের গাছ কাটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। ফলে রাস্তা সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি।