অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের মুখে এহেন অনশন ঘিরে ফের প্রকাশ্যে এসেছে পানিহাটি পুরসভার বেআব্রু চিত্র। শাসক দলকে উদ্দেশ্য করে বিরোধীদের কটাক্ষ, যদি মানুষকে পরিষেবাই দিতে না পারে, তাহলে পুরসভা রেখে লাভ কী? বরং পুরসভাটাই তুলে দিক। গত ১৯ ও ২০ এপ্রিল পরপর দু’দিন পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ঘোলা গার্লস হাইস্কুল সংলগ্ন সুনীত বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দারা। পানিহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শুধু ওই এলাকায় নয়, মহম্মদ কালাচাঁদ রোড, পূর্বাঞ্চল, দ্বারিক বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দারাও গত কয়েক মাস ধরে পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছেন। সমস্যায় পড়েছেন বিস্তীর্ণ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এমন অবস্থা হয়েছে যে, পানীয় জল থেকে স্নান, কাপড় কাচার জলও কিনতে হচ্ছে। স্থানীয় পুরসভা থেকে ‘দিদিকে বলো’, ঘোলা থানাতে বিষয়টি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার আমরণ অনশনের পথ বেছে নিলেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় ক্লাবের মঞ্চে তাঁবু খাটিয়ে তাঁরা অনশন শুরু করেছেন। বাসিন্দাদের আন্দোলনে শামিল হয়েছেন ওই ক্লাবের সদস্যরাও। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রয়োজনীয় লিখিত আশ্বাস তারা পাচ্ছেন, ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। অথচ সমস্যার সমাধান না করে পানিহাটির পুরপ্রধান মলয় রায় ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলেছেন। বিধায়ক বলছেন, ‘চেয়ারম্যানের অসুস্থতার কারণে সমস্যার দিকে তিনি নজর দিতে পারছেন না। এবার আমাকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে। আমি অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলব।’ আবার চেয়ারম্যান বলছেন, ‘বিধায়ক আমার অসুস্থতার কথা বলে আদতে পুরসভা এবং দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন। কিন্তু ব্যর্থতা কোথায় তা খুঁজে বের করছেন না।’
এসব শুনে বাসিন্দারা বলছেন, ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।’ বিরোধীদের কটাক্ষ, আসলে সমস্যা মেটানোর নামে তৃণমূলেরই একপক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাইছে। এর ফল ভুগছেন সাধারণ মানুষ। জল বিভাগের চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘ওই এলাকায় প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। গঙ্গা থেকে জল তোলার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়েছি।’