প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ডুমুরজলা থেকে গেরুয়া-সবুজ বেলুন, সাজানো ঘোড়ার গাড়ি, টোটোর মিছিল নিয়ে হাওড়া জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসনে রথীন। মনোনয়ন পেশ করার পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মোদিজির নেতৃত্বে দেশের মতো বাংলাতেও বিকাশ হবে। হাওড়া তার ছোঁয়া পাবে। প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদে মেট্রোর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে হাওড়া-কলকাতা। আমাদের ইচ্ছা, এই মেট্রো হাওড়ার অন্যান্য প্রান্তেও বিস্তার লাভ করুক। বেলুড় মঠকে জুড়তে বালিখাল এবং অন্যদিকে ধূলাগড় পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
আগের দিন হাওড়ায় প্রচারে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া লোকেদের প্রার্থী করা হচ্ছে। বিজেপির নিজস্ব প্রার্থী নেই। এর পাল্টা রথীন বলেন, আসলে নিজেদের বিসর্জনের বাদ্যি বেজে গিয়েছে বলে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তাই কে কী বলছে, তাই নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না।
পাশাপাশি এদিন দুপুরে ডুমুরজলা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায় ও মনোজ তিওয়ারি। এছাড়াও যুব সভাপতি কৈলাস মিশ্র ছিলেন শোভাযাত্রায়। প্রচুর মানুষ এদিন তৃণমূলের মিছিলে যোগ দেন। জেলাশাসকের কাছে মনোনয়ন পেশ করার পর বিদায়ী সাংসদ বলেন, গত দেড় মাস ধরে বহু মানুষের কাছে পৌঁছেছি। এত ভালোবাসা পেয়েছি যে, ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সকলেই আমাদের সমর্থন করছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শোতে এক লক্ষের বেশি মানুষ ছিলেন। যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্প ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে, তাতে মানুষ তৃণমূল ছাড়া অন্য কাউকে ভাবছেন না। ৪ জুন ফলাফলের বাক্স খুললে সেটা প্রমাণিত হয়ে যাবে। বিজেপির কাজ শুধু কুৎসা ছড়ানো। ১৭ কোটি টাকা এমপি ল্যাডে পেয়েছিলাম। তথ্য ঘাঁটলে দেখা যাবে সমস্ত টাকাই কাজে লেগে গিয়েছে। বিজেপির তো ১৮ জন সাংসদ ছিলেন। তাঁরা কী কাজ করেছেন, কেউ কখনও বলেছেন?