আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
সৌরভ আরও বলেছেন, ‘আইপিএল এখন দশ দলের। ফলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পুরো মরশুম জুড়ে পন্থ যেভাবে খেলেছে, তাতে আমি অত্যন্ত খুশি। শুভেচ্ছা রইল পন্থের আগামী দিনের জন্য। ক্রমশ ও ক্যাপ্টেন হিসেবে উন্নতি করবে। প্রথম দিন থেকে কেউ দুর্দান্ত নেতা হয় না। ও সহজাত প্রবৃত্তি অনুসারে নেতৃত্ব দেয়। সব সিদ্ধান্ত মাঠেই নেয়। আগে থেকে ঠিক করে আসে না।’
এবারের আইপিএল অভিযানে দিল্লি সাতটা ম্যাচ জিতেছে। হেরেছে সাতটিতে। অঙ্কের হিসেবে প্লে-অফের সম্ভাবনা এখনও রয়েছে তাদের। কিন্তু বাস্তবে দিল্লির অভিযান শেষ বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল। স্বয়ং পন্থ এর নেপথ্যে মন্থর ওভাররেটের কারণে এক ম্যাচের নির্বাসনকে দেখাচ্ছেন। নির্বাসিত থাকায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি তিনি। সেই ম্যাচে ৪৭ রানে পরাজিত হয় দিল্লি। ফলে রান রেটেও অনেক পিছিয়ে পড়ে তারা। পন্থ বলেছেন, ‘এটা বলছি না যে, আমি খেললে দিল্লি জিততই। তবে শেষ ম্যাচে আমি থাকলে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা বেশি থাকত।’
মরশুমের মাঝপথে ইশান্ত শর্মা, খলিল আহমেদ, মুকেশ কুমারের মতো পেসাররা ও ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার চোট পেয়েছিলেন। সেটাও সমস্যা বাড়িয়েছিল। পন্থ বলেছেন, ‘আমরা অনেক আশা নিয়ে মরশুম শুরু করেছিলাম। কিন্তু চোট-আঘাত সমস্যা ভুগিয়েছে। প্রচুর চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে। তবে সেগুলোকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরছি না। হাতে যা আছে তাই নিয়েই লড়তে হয়। আসলে কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণের বাইরেই থাকে।’
সৌরভ আবার তার মধ্যেও মুকেশ কুমার ও রসিখ ডার সালামের পারফরম্যান্সকে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরছেন। প্রাক্তন জাতীয় অধিনায়কের মতে, ‘রসিখ দুর্দান্ত উন্নতি করেছে। যত বেশি ম্যাচ ও খেলবে, তত পরিণত হবে। কোটলার পিচে একজন পেসারের পক্ষে কাজটা সহজ নয়। পিচ ব্যাটিংয়ের পক্ষে দারুণ, মাঠও ছোট। রসিখের কৃতিত্ব এখানেই। এই মরশুমে আমাদের সেরা বোলার অবশ্য মুকেশ। শুরুতেই হোক বা ডেথ ওভারে, কঠিন পরিস্থিতিতে ওর উপরই সবসময় ভরসা রেখেছি আমরা। আর ও ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে আগাগোড়া।’