নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: শুক্রবার গভীর রাতে গাংনাপুরে গৌর দেবনাথ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বাড়ির সদস্যদের মারধর করে হাত-পা বেঁধে লুটপাট চালায়। ছ’জনের দুষ্কৃতী দলটি প্রায় ৪০মিনিট ধরে অপারেশন করে। তারা নগদ টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না মিলিয়ে আড়াই লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয়।  ডাকাতির ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা গ্রামকে। বাসিন্দাদের দাবি, সাম্প্রতিককালে এমন দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা গাংনাপুরের কোড়াবাড়ি গ্রামে ঘটেনি। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। রানাঘাট-২ ব্লকের গাংনাপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় কোড়াবাড়ি গ্রাম হলেও পাকা রাস্তাঘাট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা রয়েছে। শোনা যায়, গাংনাপুর একসময় সিঁধেল চোরদের আখড়া ছিল। কিন্তু বহুদিন আগেই তা বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার রাত প্রায় ২টো নাগাদ গ্রামের বাসিন্দা গৌর দেবনাথের বাড়িতে চড়াও হয় ডাকাত দলটি। গৌরবাবু একজন সাধারণ চাষি। গরম থাকার কারণে গ্রিলে তালা দিয়ে ঘরের দরজা খোলা রেখেই ঘুমাচ্ছিলেন গৌরবাবু ও তাঁর স্ত্রী। পাশের ঘরে ছিলেন তাঁদের ছেলে। বাইরের গ্রিলের তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢোকে। পরিবারের সদস্যরা বলেন, একটি ঘরে চারজন এবং অপর ঘরে দু’জন দুষ্কৃতী ঢোকে। গৌরবাবুকে মারধর করা হয়। দড়ি ও বিছানার চাদর দিয়ে আমাদের তিনজনের হাত, পা ও মুখ বেঁধে বিছানার উপরে ফেলে রাখে। তারপর দুই ঘরের দু’টি আলমারি ভেঙে নগদ ১৯ হাজার টাকা এবং সোনা ও রুপোর গয়না মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে তারা চম্পট দেয়। গৌরবাবু বলেন, ওদের প্রত্যেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ৪০মিনিট লুটপাট চালানোর পর ওরা বেরিয়ে যায়। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থাতেই কোনওরকমে আমি ও ছেলে বারান্দার কাছাকাছি আসি। চিৎকার করার চেষ্টা করি। কিন্তু মুখ বাঁধা থাকায় পারছিলাম না। এক প্রতিবেশী গোঙানির আওয়াজ শুনে সকলকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে রাতেই পুলিস ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করে। গৌরবাবুর স্ত্রী কাননদেবী বলেন, আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। কোনও রাজনৈতিক দলও করি না। এভাবে ডাকাতির ঘটনার পর খুবই আতঙ্কে আছি।