মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, দেবার্ঘ্যের বাবা মধুতটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। তাই ছেলেকে তাঁর তত্ত্বাবধানে রেখে নিজের বিদ্যালয়ে ভর্তি করে পড়াশোনা করিয়েছেন। ওই বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করে নিজের ইচ্ছাতে কলা বিভাগে পড়াশোনা করেন। আগামী দিনে দেবার্ঘ্য ইতিহাস নিয়ে পড়তে চায়। তাঁর লক্ষ্য ইউপিএসসি পরীক্ষা।
উল্লেখ্য, এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের সময়ে দেখা যায় পুরুলিয়ার কেউ মেধা তালিকায় স্থান পায়নি। ফলে জেলা শিক্ষা মহলেও আক্ষেপ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু স্ক্রুটিনির পর সেই আক্ষেপ আর রইল না। দেবার্ঘ্যর পরিবার রঘুনাথপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস করে। দেবার্ঘ্য জানাই, যে দিন উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বের হয়, খুবই খারাপ লেগেছিল। মাত্র ১ নম্বরের জন্য মেধা তালিকায় স্থান না পাওয়ায় আক্ষেপ ছিল। বাবা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আমাকে বুঝিয়েছিলেন। দু’টি বিষয়ে আপৎকালীন স্ক্রুটিনি করেছিলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনলাইনে আমার রেজাল্ট চেক করি। দেখি বাংলায় ১ নম্বর বেড়ে আমার নম্বর ৪৮৭ হয়েছে।
দেবার্ঘ্যর বাবা স্বরূপানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ছেলের সাফল্যে গর্বিত। আমার বাবা পুরুলিয়ার তিনটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি আজ বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হতেন।
বিদ্যালয়ের টিআইসি দীপককুমার মাহাত বলেন, দেবার্ঘ্য মেধা তালিকায় স্থান না পাওয়ায় খুব খারাপ লেগেছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা কাশীপুর বিধানসভার বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার একটি বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে দেবার্ঘ্য দেখিয়ে দিয়েছে ইচ্ছা থাকলে সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে সফলতা পাওয়া যায়।