মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তী ও বিদ্যুতের বাড়ি পাশাপাশি। তাঁরা দু’জন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এনিয়ে দুই পরিবারে ঝামেলা হয়। প্রতিবেশীরা জানান, ওঁদের দু’জনকে বেশ কয়েকবার বোঝানো হয়েছিল। তারপরও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেননি। গত বুধবার রাতে পাড়ার লোকজন বিদ্যুৎকে মারধর করে। ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শুক্রবার সকালে বিদ্যুতের মাটির বাড়ির দোতলা ঘর থেকে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
বিদ্যুতের এক ভাই পীরু রানা বলেন, রাত ১০টা পর্যন্ত দাদা আমরা ঘরে ছিল। মারধরের ঘটনায় ভেঙে পড়েছিল। সব ঠিক হয়ে যাবে বলেছিলাম। কিন্তু, ও বারবার বলছিল, বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই। রাত ৩ টের সময় ঘুম ভেঙে দেখি, পাশের ঘরের দরজা খোলা। দাদাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে একাই খুঁজতে বের হই। ফিরে এসে দেখি ভিতর থেকে সেই ঘরের দরজা বন্ধ। সকালে দরজায় ধাক্কা দিতেই খিল খুলে পড়ে যায়। ওদের দু’জনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জয়ন্তীর স্বামী সন্তোষ প্রামাণিক বলেন, পিতলের ঘড়া তৈরির কাজ নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। কয়েকদিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্কের কথা জানতে পারি। স্ত্রীকে এনিয়ে বললে ও সবকিছু ভুলে ঠিকভাবে চলবে বলে জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুয়েছিলাম। স্ত্রী ছেলের ঘরে শোবে বলেছিল। ১১টার সময় দেখি ঘরে নেই। রাতেই পাশের রামনগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যাই। সেখানে না পেয়ে ফিরে আসি। সকালে দেখি ওরা দু’জনে গলায় দড়ি দিয়েছে। প্রতিবেশী সঞ্জয় পাত্র বলেন, জয়ন্তীর এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ছেলেটি আগের পক্ষের। বিদ্যুতের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের ঘটনায় এলাকায় কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। দু’জনকে বেশ কয়েকবার বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু, কাজ হয়নি। তবে এভাবে মৃত্যু কারও কাছেই কাম্য ছিল না।